প্রেসিডেন্সির হিন্দু হোস্টেলে থাকতে বাধা দলিত ছাত্রদের, অভিযুক্ত আইসি-এসএফআই
কোচবিহারের বাসিন্দা দুই ছাত্রকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেলে থাকতে বাধা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন এসএফআই ও প্রধান বিরোধী ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসলিডেশন বা আইসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দুই স্নাতকোত্তর পড়ুয়ার ওপর সমানে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠছে এই দুই সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এই দুই দলিত, সংখ্যালঘু ছাত্র আদতে কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। প্রেসিডেন্সিতে চলা হোস্টেল আন্দোলনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারেনি কারণ সেই লকডাউনের সময়ে তাদের পরিবারের জীবিকা অর্জন করতে তাদের পাশে দাঁড়াতে হয়েছিলো এই দুই পড়ুয়াকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইন ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা কলকাতায় আসে এবং প্রেসিডেন্সির বাকি হোস্টেল বোর্ডারদের মতো তারাও হিন্দু হোস্টেলে থাকতে শুরু করে। কিন্তু, প্রথম থেকেই তাদের থাকার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে এসএফআই এবং আইসির সদস্যরা। তাদের মত, প্রথম থেকে এই দুই পড়ুয়া যেহেতু হোস্টেল মুভমেন্টে ছিলোনা, তাই তাদের থাকারও কোনো অধিকার নেই। উল্লেখ্য, হিন্দু হোস্টেল কিন্তু এখনো অফিসিয়ালি চালু করেনি প্রেসিডেন্সি কতৃপক্ষ – যারা সেখানে থাকছে, জোর করেই থাকছে। এই অবস্থায় এই দুই ছাত্রকে বলা হয় ডিন অফ স্টুডেন্টসের অনুমতিপত্র আনতে, যেটি সত্যই অবাস্তব একটি চাহিদা।
এখন জোর-জবরদস্তি করে তাদের হোস্টেল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এই দুই ছাত্রের পক্ষে পিজি ভাড়া করে থাকাও অসম্ভব।
মোটের ওপর বলাই যায়, প্রেসিডেন্সির এই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি মুখে যতই সর্বহারার কথা বলুক, দলিত ছাত্রদের হোস্টেলে থাকার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণ্যবাদ।