বড়োদিনেই বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তন ফেলুদার? আগামী মাসে শুরু ‘হত্যাপুরীর’ শুটিং
একটি একটি করে রহস্য ভাঙছেন সন্দীপ রায়। মঙ্গলবার পরিচালক জানিয়েছেন, মে মাসের শেষ থেকে শ্যুটিং শুরু করছেন তাঁর আগামী ছবি ‘হত্যাপুরী’র। সত্যজিৎ রায়ের লেখা এই গল্পের পটভূমিকায় জগন্নাথ ধাম পুরী। ফেলুদা এবং তাঁর সহকারীদের নিয়ে তাই পরিচালক শ্যুট করতে পৌঁছে যাবেন সেখানেই। পাশাপাশি, সন্দীপের এই ছবিতেই দর্শকদের কাছে পৌঁছে যাবেন নতুন ফেলুদা।
পরিচালক বলেছেন, “আমি এবং আমার দল ইতিমধ্যেই পুরীতে গিয়ে শ্যুটিংয়ের জায়গা দেখে এসেছি। মে মাসের শেষ থেকে শ্যুটের ইচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব শ্যুট শেষ করতে চাই। যাতে আগামী ডিসেম্বরে, বড়দিনে সবাই নতুন ফেলুদাকে দেখতে পান।” পরিচালকের অনেক দিনের ইচ্ছে, ‘হত্যাপুরী’কে বড় পর্দায় নিয়ে আসার। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল শিশুদের পত্রিকা ‘সন্দেশ’-এ।
এই নতুন ফেলুদা কে? অনির্বাণ ভট্টাচার্য না টোটা রায়চৌধুরী? লাখ টাকার এই প্রশ্নেই আপাতত তোলপাড় বাংলা বিনোদন দুনিয়া এবং দর্শক মহল।
রহস্য যথারীতি জিইয়ে রেখেছেন সত্যজিৎ-পুত্র। সংবাদ মাধ্যম যোগাযোগ করেছিল রায় পরিবারের সঙ্গে। সত্যজিতের পুত্রবধূ ললিতা রায় জানিয়েছেন, আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসবে নতুন ফেলুদার নাম। পরিচালক এবং প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ একযোগে নাম ঘোষণা করবেন। এর আগে সন্দীপ বলেছিলেন, “ফেলুদা চরিত্রে এমন কাউকে বাছতে চলেছি, যাঁর চেহারায় একই সঙ্গে খেলোয়াড়ের মতো ক্ষিপ্রতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত তীক্ষ্ণতার মিশেল থাকবে।” ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সন্দীপ পরিচালিত সাতটি ‘ফেলুদা’ ছবিতে ফেলু মিত্তিরের চরিত্রে দেখা গিয়েছে যথাক্রমে সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং আবীর চট্টোপাধ্যায়কে।
কাহিনিকারের গল্প অনুযায়ী, প্রদোষচন্দ্র মিত্র তাঁর দুই সহকারী তোপসে এবং লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাবেন পুরীতে। কিন্তু রহস্য কখনও ফেলুদাকে ছাড়ে? তাই সমুদ্র সৈকতে বিশ্রামের বদলে জগন্নাথ দেবের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত ওড়িশা শহরেও খুনের কিনারায় নামতে হয় ধারালো মগজাস্ত্রের কারবারি প্রদোষ চন্দ্র মিত্রকে