জাহাঙ্গীরপুরীতে বুলডোজারের তাণ্ডবে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, তবু থামেনি উচ্ছেদ অভিযান
আজ সকালেই দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে বেআইনি নির্মাণকারীদের হঠাতে অভিযান শুরু করেছিল উত্তর দিল্লি পুরনিগম। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হল। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুষ্মন্ত দাভে, কপিল সিবাল, পাভ সুরেন্দ্রনাথ এবং প্রশান্ত ভূষণ আজ সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপিত করলে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামিকাল মামলার শুনানি হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
এদিন দুষ্মন্ত দাভে এই প্রসঙ্গে আদালতে বলেন, ‘দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীরপুরীতে এটা সম্পূর্ণ বেআইনি একটা ধ্বংসযজ্ঞ। কাউকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি এবং কারও কথাও শোনা হয়নি। আমরা এই অভিযান বন্ধের আবেদন করছি।’ এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঠিক আছে, আমরা স্ট্যাটাস কুয়ো অর্ডার করছি। আগামিকাল অন্য বিষয়গুলির সঙ্গে এই বিষয়টিও তোলা হোক।’ উল্লেখ্য, এর আগে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, যদি কারোর উপর হিংসায় যোগের সন্দেহ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে কেন বুলডোজার চালানো হবে।
উল্লেখ্য, বিজেপি পরিচালিত উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছিল যে বুধবার একটি যৌথ উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন তারা। বেআইনি নির্মাণকারীদের হঠাতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এই জাহাঙ্গীরপুরীতেই হনুমান জয়ন্তীতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এই আবহে এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আগে থেকে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ঠেলা থেকে বস্তি, একের পর এক সব ভাঙা হয়। এই আবহে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীনই তা বন্ধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।