বিজিবিএসের উদ্বোধনী দিনে বিশ্বের শিল্পমহলের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলার দুর্গাপুজোকে
বাংলা ও বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। আর সব প্রধান উৎসবের মতোই দুর্গাপুজোও এক বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। সেই কারণে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের (BGBS 2022) উদ্বোধনী দিনে বিশ্বের শিল্পমহলের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলার এই প্রধান উৎসবকে (Durgapuja)।
মাত্র কয়েক মাস আগেই বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। সেই সূত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থার হাত ধরেই গোটা বিশ্বের কাছে দুর্গাপুজোর প্রচার বাড়ছে। ভারতীয় দূতাবাসগুলি ইতিমধ্যে সে কাজ শুরুও করেছে (BGBS 2022)।
রাজ্য সরকার শিল্পের মেগা সম্মেলন বিজিবিএসে দুর্গাপুজোকে তুলে ধরতে চাইছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। তাহল, এই উৎসবকে ঘিরে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে হওয়া ব্যবসা-বাণিজ্যের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়। হাতে হাতে কাজও মেলে।
বাংলায় দুর্গাপুজোর বাণিজ্যিক অঙ্কটি কত (BGBS 2022)?
২০১৯-এ ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানায়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বছরের কয়েকটি মাসে ৩২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এর মধ্যে শুধু জামা-কাপড়েই ব্যবসা হয় প্রায় ২৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার। এরপরেই আছে খাবারদাবারের ব্যবসা। ওই খাতে ব্যবসা হয় ২৮০০ কোটির কিছু বেশি টাকার। প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য শিল্পকর্মে খরচ হয় ৮০০ কোটি টাকা। ওই সমীক্ষার মূল উদ্যোগ ছিল রাজ্যের পর্যটন দফতরের। তারা এই উৎসবকে আগেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা শুরু করেছে। বিগত কয়েক বছর যাবৎ দুর্গাপুজোয় বিদেশি পর্যটকের কলকাতায় আসা বেড়েছে।
দুর্গাপুজোর সূত্র ধরে কীভাবে বিনিয়োগ আসতে পারে (BGBS 2022)?
সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকার চাইছে জামাকাপড়ের শিল্পের সিংহভাগ বাংলার হাতে থাক। পুজোর জামা কাপড়ের অনেকটাই ভিন্ন রাজ্য থেকে আসে। ফলে রেডিমেড গারমেন্টস, শাড়ি, হোশিয়ারি শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। আর বাংলায় বিনিয়োগের হাত ধরে গোটা পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসার দুয়ার খুলে যাবে।