শেষ ওভারে “ধোনি ম্যাজিক”, ৩ উইকেটে মুম্বইকে হারাল চেন্নাই
জেতালেন তিনি জেতালেন। বয়স হয়ে গেলেও এখনও যে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন তা দেখিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ১৩ বলে ২৮ রান করলেন। শেষ বলে চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন ধোনি।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য প্রথম ওভারেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। অনামী পেসার মুকেশ চৌধরীর বলে শূন্য রানে আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা ও ঈশান কিশন। তিন নম্বরে নামা ডেওয়াল্ড ব্রেভিসও রান পাননি। মুকেশের বলের সামনে সমস্যায় পড়েন তিলক বর্মাও। তাঁর সহজ ক্যাচ ছাড়েন ডোয়েন ব্র্যাভো। নইলে আরও চাপে পড়ত পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন তিলক ও সূর্যকুমার যাদব। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন সূর্য। বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন তিনি। কিন্তু ৩২ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন সূর্য।
নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল মুম্বইয়ের। তবে এক দিকে ধরেছিলেন তিলক। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন এই ম্যাচে অভিষেক করা তরুণ হৃত্বিক শোকীন ও জয়দেব উনাদকাট। তবে চেন্নাইয়ের ফিল্ডিংও তার জন্য খানিকটা দায়ী। বেশ কয়েকটি ক্যাচ পড়ল। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিলক। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান করে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে চেন্নাইও। ড্যানিয়েল স্যামসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান পাননি তিন নম্বরে নামা স্যান্টনার। দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন রবিন উথাপ্পা ও অম্বাতি রায়ডু। দু’জনে মিলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
৫০ রানের জুটি বাঁধার পরে ৩০ রানের মাথায় উনাদকাটকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান উথাপ্পা। তার পরে রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় ধোনিদের। ভাল বল করেন তরুণ হৃত্বিক। স্যামসের বলে শিবম দুবে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যান চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। এক দিকে ধরেছিলেন রায়ড়ু। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৪০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি। রান পাননি অধিনায়ক জাডেজাও।