গরমে মহার্ঘ্য লেবু! বিজ্ঞাপনে খোঁচা আমূলের
মূল্যবৃদ্ধির আগুনে পুড়ছে গোটা দেশ। বর্তমানে হু হু করে বাড়ছে পাতিলেবুর দাম। কোথাও আট টাকা, কোথাও আবার ১৪-১৫ টাকা দর হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। যার জেরে ভাতের সঙ্গে লেবু খাওয়ার অভ্যাসকে বিদায় জানাতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। এবার এই বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তোলা হল আমূল সংস্থার বিজ্ঞাপনে। লেবুর দাম থেকে আঁতকে উঠল জনপ্রিয় আমূল গার্লও!
গরমকালে ভাতের সঙ্গে লেবু চটকে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে সেই কাজ রীতিমতো দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর হবে নাই বা কেন? পাতিলেবুর দাম চড়চড়িয়ে বাড়ছে যে! বর্তমানে পাইকারি বাজারে পাতিলেবুর দাম উঠছে ১৫ টাকা পর্যন্ত! আর এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিফলনই এবার দেখা গেল আমূল সংস্থার বাংলা বিজ্ঞাপনে।
ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, কিচেন অ্যাপ্রন পরে রান আমূল গার্ল রান্নাঘরে ঢুকেছে। কিন্তু, হাতে পাতিলেবু নিয়েই সে থ! কারণ, এখন এই লেবুর দামই যে আকাশছোঁয়া। সামাজিক ওই বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন দেওয়া হয়েছে- “মন আমার লেমন লেমন করে।” আর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আকাশ ছুঁলো লেবুর দাম!”
গোটা দেশেই হু হু করে বাড়ছে পাতিলেবুর দাম। একসময় বেশি মূল্যের বাজার করলে লেবু-লঙ্কা ফ্রিতেই থলিতে পুরে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু, সেই ‘নিম্বু’-তেই আর হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না। মাদুরাই থেকে কলকাতা, সর্বত্র এই একই দৃশ্য। কলকাতার পাইকারি বাজারগুলিতে আট থেকে ১৫ টাকায় বিকোচ্ছে লেবু।
Forum Of Traders Organisation West Bengal -এর সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, হোলসেল মার্কেটে পাতিলেবু, গন্ধরাজ লেবু কিংবা কাগজি লেবু জোড়া ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাঁর কথায়, “পাতিলেবুর উৎপাদন কম হচ্ছে। যার জেরে সাপ্লাই কম হচ্ছে। সেই কারণেই পাতিলেবুর দাম এভাবে বাড়ছে। দোকানিরা হোলসেল মার্কেট থেকে বেশি দামে লেবু কিনছেন। আর সেই কারণেই পাইকারি বাজারেও দামটা বেড়ে যাচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, ১৫ দিনের মধ্যে লেবুর দামটা আবারও কমতে শুরু করবে।”
আমূল সংস্থা নিজেদের বুদ্ধিদীপ্ত বিজ্ঞাপনের জন্য বিখ্যাত। ওই কোম্পানির বিজ্ঞাপনে মাঝেমধ্যেই সামাজিক নানা বিষয় উঠে আসে। যেমন, গত দোলে “অসহায় প্রাণীকে রং নয়” নামের একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিল আমূল। সারমেয়, বিড়াল সহ কোনও প্রাণীর গায়েই যাতে কেমিক্যালে পরিপূর্ণ রং না দেওয়া হয় তা নিয়ে ওই বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
ঠিক তার আগে লক্ষ্য সেন ব্যাডমিন্টনে সোনা জেতার লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়ায়, তাঁকে ‘চিয়ার আপ’ করেও একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে আমূল গার্লের জন্মলগ্ন থেকেই ওই সংস্থা এই ধরণের হটকে বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। যা আজও বেশ জনপ্রিয়।