দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদীর অদূরদর্শিতার ফলে কয়লা সঙ্কট, দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

April 22, 2022 | 2 min read

১০ রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ সঙ্কট। কয়লা সঙ্কটের কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কাকেই সত্য প্রমাণিত করে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশে চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ছাঁটাই। দিল্লি, চণ্ডীগড়, মুম্বই, আমেদাবাদের মতো শহরগুলিতে বিদ্যুৎ সঙ্কটের পাশাপাশি শিল্পোৎপাদনেও প্রভাব পড়ছে। বিদ্যুৎ সঙ্কট মেটাতে বিপুল কয়লা আমদানি করতে হবে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কয়লার চাহিদা আকাশছোঁয়া হওয়ায় দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, ভারতে বিদ্যুৎ ও খাদ্য, এই দু‌ই পণ্যের দাম দ্রুতহারে বাড়তে চলেছে আগামী দিনে।

খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার আর একটি কারণ সার আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে সার আমদানির উপর প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই আসন্ন চাষের মরশুমে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আদৌ পূর্ণ হবে কি না সেই আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ফলে দেশে খাদ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং বাড়বে। ঠিক এই অবস্থায় বিদ্যুৎ সঙ্কট যেমন বাড়তে শুরু করেছে, তেমনই প্রতিটি ইউনিটের দামও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের রিপোর্ট বলেছে, বিদ্যুৎ মাশুল লাফিয়ে বাড়তে চলেছে। এই জোড়া ধাক্কায় ভারতের ২০২২-২৩ সালের আর্থিক ঘাটতি জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলেই আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার মনে করে।

বুধবারই অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন বলেছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে আর মাত্র ৯ দিনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে। কয়লাখনির কাছে থাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে স্বাভাবিক নিয়মে থাকা উচিত ১৭ দিনের মজুত। আর খনি থেকে দূরে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অন্তত ২৬ দিনের মতো কয়লা সংরক্ষিত থাকার কথা। যদিও কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে ১ মাসের মতো কয়লা রয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে। বৃহস্পতিবারই দেশের আট রাজ্য থেকে সংবাদ আসতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। চাহিদা উ঩ঠেছে তুঙ্গে, কিন্তু সরবরাহ কমে যাচ্ছে। সঙ্কট সামাল দিতে দেশীয় কয়লায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কয়লার মিশ্রণ ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। কিন্তু মাত্র ১০ শতাংশ মিশ্রণের জন্য ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়ে যাবে উৎপাদনে। আর সেই চাপ শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের উপরই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#electricity, #coal india, #Food products

আরো দেখুন