চাঁদা দিতে অপরাগ দলিত যুবককে জনসমক্ষে থুতুতে নাক ঘষালেন তিখিরি গ্রামের সরপঞ্চ!
‘হাতে টাকা নেই, এখন মন্দিরের জন্য চাঁদা দিতে পারব না।’ সরপঞ্চকে এই অনুনয় করেছিলেন এক দলিত যুবক। প্রতিশোধ নিতে জনসমক্ষে তাঁকে নিজের থুতুতে নাক ঘষতে বাধ্য করলেন সেই সরপঞ্চ। শনিবারের এই অমানবিক ঘটনাটি ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার। ঘটনার পরেই গ্রামের সরপঞ্চের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত। সূত্রের খবর, মন্দিরের জন্য চাঁদা চাইতে যুবকের বাড়িতে যান তিখিরি গ্রামের সরপঞ্চ চামেলি ওঝা। কিন্তু যুবক বলেন, ‘বিগ্রহের জন্য আগেই চাঁদা দিয়েছি। এখন হাতে টাকা নেই। তাই মন্দিরের জন্য এখন কিছু দিতে পারব না।’ এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যুবক ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফিরে যান চামেলি। পরদিন বিকেলে সরপঞ্চের একটি সালিশি সভায় ডাকা হয় ওই যুবককে। সেখানেই তাঁকে বলা হয় নিজের থুতুতে নাক না ঘষলে গ্রাম থেকে বহিষ্কৃত করা হবে। উপায় না দেখে সরপঞ্চের নির্দেশ মানতে বাধ্য হন ওই দলিত যুবক। মারসাঘাই থানার আধিকারিক প্রদীপ কানুনগো বলেন, ‘ওঝা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন গ্রামবাসীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিস। তদন্ত চলছে।’ যদিও ঘটনায় রাজনৈতিক উস্কানির গন্ধ পাচ্ছে অনেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চামেলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যুবকের স্ত্রী। ভোটে জেতার পর তারই প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। ওই দলিত যুবকের ছেলের দাবি, ‘আমরা নির্দোষ। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই সরপঞ্চ এই কাজ করেছেন।’