বিজেপির জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক, এবার আলিপুরদুয়ার!
বিজেপির জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। দলের জেলা কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জয়ন্ত রায় ও অর্জুন বিশ্বাস। তাঁদের মতো করে দলের জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নির্মল মোদকও। ইস্তফা দেওয়া তিন জনই জেলায় বিজেপির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ফলে বিজেপির তিন নেতার ইস্তফার ঘটনায় জেলা জুড়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
বিজেপির ইস্তফা দেওয়া তিন নেতার মধ্যে জয়ন্তবাবু টানা তিন বছর দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জেলা কমিটির সহ সভাপতি পদের দায়িত্বও সামলেছেন। জয়ন্তবাবু ছিলেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার ঘনিষ্ঠ অনুগামী। বিধানসভা ভোটের পরে গঙ্গাপ্রসাদবাবু বিজেপির জেলা সভাপতি ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
সেই জয়ন্তবাবু প্রথমে ব্যক্তিগত কারণে দলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বললেও পরে বলেন, দলে সম্মান নেই। অন্যদিকে ইস্তফা দেওয়া অর্জুন বিশ্বাস কোন রাখঢাক না করেই বলেন, দলের জেলা নেতৃত্ব অকর্মণ্য। তারা নিজেরা যেমন কাজ করতে দেয় না, তেমনি আমাদেরও কাজ করতে দেয় না। সেজন্যই বাধ্য হয়ে বুধবার লিখিতভাবে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি জেলা সভাপতির কাছে। নির্মলবাবু অবশ্য এখনই তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কারণ বলতে চাননি। তিনি বুধবার হোয়াটসআপে দলের জেলা সভাপতির কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। আজ, শুক্রবার নির্মলবাবু লিখিতভাবে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠাবেন। রেল জংশন এলাকার পরিচিত বিজেপি নেতা নির্মলবাবু বলেন, বুধবার হোয়াটসঅ্যাপে দলের জেলা কমিটির ওই সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। শুক্রবার লিখিত ভাবে জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র দেওয়ার পরেই আমি আমার ইস্তফা দেওয়ার কারণ জানাব।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, তিন জনের মধ্যে একমাত্র জয়ন্তবাবুর ইস্তফাপত্রই গৃহীত হয়েছে। বাকি দু’জনের ইস্তফা দেওয়ার খবর গোটাটাই ভুয়ো। বাকি দু’জন এখনও দলে আছেন।