গোষ্ঠীদ্বন্দে জেরবার বঙ্গ বিজেপি, পার্টি অফিস ভেঙ্গে ফেলার নিদান বিজেপি কর্মীর
এই দু’দিন আগের ঘটনা। হুগলি জেলার সংগঠনিক বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হয় নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে। বাড়তে থাকে অসন্তোষ। অভিযোগ তোলা হয়, দল মণ্ডল সভাপতির পদে এমন সদস্যদের বসিয়েছে যারা আদতে দুষ্কৃতী। এই ভয়ঙ্কর অভিযোগের পরই রাতারাতি মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা প্রত্যাহার নেন জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার। নতুন করে ঘোষণা করা মণ্ডল সভাপতিদের নাম। কিন্তু তারপরও কি গেরুয়া শিবিরে শান্তি ফিরেছে? নতুন তালিকা প্রকাশের পরও তা মনের মতো হল না বাকি কর্মীদের। তাঁদের সাফ অভিযোগ, জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ও জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ স্বজনপোষণ করছেন। নিজের পছন্দের মানুষজনকে বসিয়েছেন পদে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সরব হতে দেখা গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমেও। এর মধ্যেই দল নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন এক কর্মী।
সূত্রের খবর, হুগলি জেলার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভের আঁচ মালুম হচ্ছিল কদিন ধরে।একবার মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও তা প্রত্যাহার করে নেন বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার। দু’দিন পরে ত্রিশটি মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপরই নীচু তলার কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ-কেউ লেখেন, “কোনও নেতা বা নেত্রীর সুপারিশে দলের দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ হোক। তবেই যোগ্য ব্যক্তিরা জায়গা পাবে। এই ঝামেলা বন্ধ হবে।” কেউ আবার লেখেন, “দল তাহলে কী দেখছে? দলের কাজ না করে নেতা বা নেত্রীর পিছনে ঘুরলেই তো হয়ে যাবে।” এই সকল পোস্টের মধ্যেই আর এক অভিজিৎ দে নামে আর এক বিজেপি কর্মী ফেসবুকে লেখেন, ‘পার্টি অফিস ভেঙে ফেল সবাই মিলে। ওই ‘টাকলুটা’ মেন ভিলেন।’
এই পোস্ট ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। ক্ষোভের আগুন বাড়তে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রসঙ্গে সুরেশ সাউ বলেন, “আসলে ভোটের সময় অনেকে বিজেপিতে ঢুকেছে। তারাই এখন এসব করছে। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে। দলীয় অফিস ভেঙে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলছে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ ব্যবস্থা নিক।” বিজেপি কর্মী অভিজিৎ দে ফোনে জানান, ‘দলের বিষয় বাইরে কিছু বলব না। আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু কথা লিখে ফেলেছিলাম। জেলা সভাপতির সাথে কথা হয়েছে, বিষয়টি মিটিয়ে নেব। এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার দলের বিরুদ্ধে দলের ভিতরেই বলা ভালো।