বৃদ্ধি হয়েছে জনসংখ্যা, কেন্দ্রের কাছে রেশন দোকানের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন রাজ্যের
রেশন দোকানের সংখ্যা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (এনএফএসএ) আওতায় রেশন গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের কাছে এই দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে রেশন গ্রাহকের সংখ্যা এখন প্রায় ছয় কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে দিন দিন রেশন পরিষেবার উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যের জন্য রেশন দোকানের একটি কোটা নির্দিষ্ট করে দেয়। ২০১৩ সালে প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যের যে কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। খাদ্য দপ্তরের এক কর্তার দাবি, গত নয় বছরে রাজ্যের জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেশন দোকানের সংখ্যা বাড়াতে আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যের তরফে খাদ্য সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি চিঠিটি লিখেছেন।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে কলকাতায় এসেছিলেন। সেই সময় রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময়ও রেশন দোকানের কোটা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে এ বিষয়ে যুক্তি দিয়ে রেশন দোকানের সংখ্যা বাড়ানো আবেদন করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে জানিয়েছেন, খাদ্য সুরক্ষা আইনে দেশের শহরাঞ্চলে ৫০ শতাংশ ও গ্রামের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ মানুষকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা হোক। আইনটি কার্যকর করার সময় ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী প্রতি রাজ্যের জন্য কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই। তার পর আর কোনও জনগণনা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার বিবেচনা করে রেশন দোকানের বর্ধিত কোটা বৃদ্ধির কথা কেন্দ্র বিবেচনা করুক। কারণ, নতুন করে জনগণনা কবে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।