ভারতের সবচেয়ে বড় ফ্লিপকার্টের ওয়্যারহাউস এখন হরিণঘাটায়, দেখুন ছবি
দেশের বৃহত্তম প্যাকিং ওয়্যারহাউস এখন বাংলায়। ভারতের অন্যতম ই-কমার্স সংস্থার হাত ধরেই শুরু হয়েছে হরিণঘাটার এই সুবিশাল ওয়্যারহাউসের যাত্রা। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন সংস্থার সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তিও।
কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিণঘাটায় ১১০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার।
কতটা বড় এই প্যাকিং ওয়্যার হাউস? সংস্থার দাবি, ১২টি অলিম্পিক ফুটবল স্টেডিয়াম সমান বিগ বক্স ওয়্যারহাউস। ২০ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে রয়েছে। যা ভারতের সাপ্লাই চেন বিপ্লবকে এগিয়ে যাবে।
এই ওয়্যারহাউসে বিভিন্ন পণ্যের প্যাকিং করা হয়। সেগুলি পৌঁছে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের গ্রাহকদের কাছে। ফ্লিপকার্টের দাবি, প্রতি ৬ সেকেন্ডে একটি করে ট্রাক এখান থেকে রওনা দেয়।
সংস্থার দাবি, ওয়্যারহাউসে ৭০ শতাংশ প্রযুক্তিই ভারতে তৈরি। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার সঙ্গে প্রচুর কর্মীও কাজ করছেন। তাঁরা বেশিরভাগই স্থানীয়।
বিগ বক্স ওয়্যারহাউসে ১১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে ফ্লিপকার্ট। সেই সঙ্গে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করবে বাংলা ও উত্তর-পূর্বের ২০ হাজার বিক্রেতাকে।
আমতাতেও মুদি দোকানের ওয়্যারহাউস রয়েছে ফ্লিপকার্টের। তবে হরিণঘাটার এই ফুলফিলমেন্ট সেন্টার আয়তনে অনেকটাই বড়। তিন বছর ধরে এটি তৈরির কাজ চলছিল।
বিগ বক্স ওয়্যারহাউসের উদ্বোধনের পর সংস্থার সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি জানান,’হরিণঘাটায় ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের সূচনা করে আমরা গর্বিত। দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো, প্রযুক্তি ও প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সংস্থার দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের কয়েক হাজার বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতাদের সংযোজন স্থাপন করতে সক্ষম হবে এই ওয়্যারহাউস। এতে লাভবান হবে স্থানীয় অর্থনীতিও। সেই সঙ্গে গ্রাহক পরিষেবাও উন্নত হবে।
ফ্লিপকার্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,’বাংলাই এখন বিনিয়োগের জন্য সেরা গন্তব্য।’