বাণিজ্য সম্মেলনে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের বাস্তবায়নে তৎপরতা রাজ্য সরকার
সদ্য মিটেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার। দু’দিনের বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে দাবি রাজ্যের। তাই এবার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাস্তবে পরিণত করতে কোমর বাঁধল রাজ্য।
কোভিডের কারণে দু’বছর পর ২০-২১ এপ্রিল রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনের সাফল্যের জন্য আগেই আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শনিবার বিশ্ববঙ্গ মেলা প্রাঙ্গণে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল একটি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও পর্যালোচনা বৈঠক।
সূত্রের খবর, এই বৈঠক শুরু হয় বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। উপস্থিত ছিলেন সমস্ত দপ্তরের সচিব ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেখানেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে।
বাণিজ্য সম্মেলনের ৪৮ ঘণ্টায় কৃষি বিপণন, কারিগরি শিক্ষা, পর্যটন, ক্ষুদ্র শিল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ১৩৭টি মউ স্বাক্ষর হয়েছে। যার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে শুরু করে যুবক যুবতীদের চাকরির যোগ্য করতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। আবার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজন প্রস্তাবিত বিনিয়োগের বাস্তবায়ন। এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে, ‘এখানেই থেমে না থাকার’ বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সময়মতো রাজ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি রূপায়ণে জোর দেওয়া হয়েছে শনিবারের পর্যালোচনা বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দশ অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাণিজ্য সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক করা নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
আগামী দিনে দেউচা-পাচামি কয়লা খনি, রঘুনাথপুর শিল্পনগরী, তাজপুর বন্দর, পাওয়ারলুম স্থাপন ও লজিস্টিক হাব সহ বিভিন্ন প্রকল্প জেলায় গড়ে উঠবে। সেই কারণে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের সেচ ব্যবস্থা ও সুন্দরবনে বাঁধ তৈরির কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে মউ স্বাক্ষর হয়েছে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। ইতিমধ্যে, নেদারল্যান্ডসের আধিকারিকরা এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক কাজও শুরু করেছে রাজ্যে। শনিবার, রাজ্য সেচদপ্তরের সঙ্গে সে দেশের আধিকারিকদের একটি বৈঠকে এই কাজ নিয়ে আগামী দিনের রোডম্যাপও তৈরি হয়।