আইপিএলে লাগাতার অষ্টম হার মুম্বইয়ের, ৩২ রানে জিতল লখনৌ
অনবদ্য কেএল রাহুল (KL Rahul)। হতভাগ্য রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। প্রথম জন অবিশ্বাস্য শতরান করে নিজের দলকে জয় এনে দিলেন। আর দ্বিতীয় জন ক্রিজে সেট হওয়ার পরও নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। আর তাতেই একটা সময় যে মুম্বইকে দেখে মনে হচ্ছিল আজ ভাগ্য বদলালেও বদলাতে পারে, সেই মুম্বই হারল ৩৬ রানের ব্যবধানে।
লাগাতার হারে বিদ্ধ মুম্বই (Mumbai Indians) অধিনায়ক রোহিত টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যান্য ম্যাচের তুলনার এদিন ম্যাচের শুরুটা ভালই করেছিলেন মুম্বই বোলাররা। এদিন চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২৭ রানের মাথাতেই প্রথম উইকেট তোলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ডি’কক আউট হন ১০ রানে। ওপেনিং সঙ্গীকে দ্রুত হারালেও লখনৌ সুপারজায়ান্টস (LSG) অধিনায়ক কেএল রাহুল কিন্তু থামেননি। মুম্বইয়ের বোলারদের রীতিমতো তুলোধোনা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কখনও মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে কখনও আয়ুশ বাদোনির সঙ্গে জুটি বেঁধে। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ বল পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬২ বলে ১০৩ রান করেন রাহুল। এটি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর দ্বিতীয় শতরান। আইপিএলে (IPL 2022) এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি। ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা রাহুলের থেকে বেশি। সব মিলিয়ে টি-২০ ক্রিকেটে এটি রাহুলের ষষ্ট শতরান। যা রোহিত শর্মার সমান। লখনৌয়ের অন্য ব্যাটাররা তেমন সফল না হলেও রাহুল একাই লখনৌকে লড়াকু ইনিংসে পৌঁছে দেন। লখনৌ করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেও শুরুটা বিগত কয়েক ম্যাচের থেকে ভাল করে মুম্বই। ঈশান কিষান (২০ বলে ৮) এদিন ফের চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক রোহিত ভাল শুরু করেন। তিনি করেন ৩১ বলে ৩৯ রান। মুম্বইয়ের প্রথম উইকেট পড়ে ৪৯ রানে। তারপরই বদলে যায় খেলা। একে একে ব্রেভিস, রোহিত, সূর্যকুমার যাদব সকলেই ফিরে যান। এক উইকেটে ৪৯ থেকে ৬৭ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে চরম চাপে পড়ে যায় মুম্বই। এরপর অবশ্য তিলক বর্মা এবং পোলার্ডের ব্যাটে ভর করে কিছুটা কামব্যাক করে মুম্বই। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি। রানের পাহাড়ের চাপে পোলার্ডরও শেষ পর্যন্ত হার মানেন।
এই নিয়ে চলতি মরশুমের ৮ ম্যাচের ৮টিই হারল মুম্বই। যা আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। অন্যদিকে এটি এই মরশুমে লখনৌ এর পঞ্চম জয়। তাঁরা চলে এল পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারে।