‘আমার স্ত্রী ও বোনকে রেপ করা হয়েছিল’, প্রয়াগরাজে তৃণমূল প্রতিনিধিদের অভিযোগ সুনীল যাদবের
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। একই বাড়ির ৫জনকে খুন করা হয়েছে। এমনকী বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর ররিবার সেই প্রয়াগরাজে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের টিম। এদিন খেবরাজপুর গ্রামে যান তাঁরা। রাজ্যসভার সদস্য দোলা সেনের নেতৃত্বে প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর. বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, ইউপির প্রাক্তন বিধায়ক ললিতেশ পাটি ত্রিপাঠি সহ তৃণমূলের ৫ সদস্যের টিম এদিন ওই গ্রামে যান। এদিকে ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার যাদব সহ পরিবারের ৫জনের। পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এদিন সুনীল যাদব তাঁদের জানিয়েছেন সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির নামে অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিশ। তাঁর স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওই ব্যক্তির।
‘ওদের শরীরে কোনও কাপড় ছিল না যখন আমরা দেহদুটি পাই, দাবি সুনীল যাদবের। এদিকে ঘটনার সময়ে সুনীল বাড়িতে ছিলেন না। দোলা সেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সুনীল যাদব আমাদের জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী ও বোনকে রেপ করা হয়েছিল। ওই গ্রামেরই একজনকে তিনি সন্দেহ করছেন। তিনি পুলিশকে তার নাম জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সকেত গোখলে বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি আমরা।মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এখানে আসা দরকার।আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাব। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তৃণমূলের ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, সুনীল বলছেন, কেসকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, আমকা এটা হতে দেব না। কোথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? কোথায় জাতীয় মহিলা কমিশন? মোদী, যোগী নীরব কেন? প্রশ্ন তৃণমূলের।