প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডে যোগী আদিত্যনাথের ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আক্রমণ তৃণমূলের
যোগীর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা একেবারেই তলানিতে। বিজেপির গর্বের ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে মানুষের জীবন বড় তুচ্ছ, তা ফের প্রমানিত হল। বর্বরোচিত নারকীয়তার সাক্ষী থাকল প্রয়াগরাজ। খেভরাজপুরে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যদের নিথর দেহ উদ্ধার করেছিল উত্তরপ্রদেশে পুলিশ। প্রতিটি মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাতেই স্পষ্ট হয় যে প্রত্যেককেই মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। যারা খুন করেছে তারাই পালানোর আগে বাড়িতে আগুন লিগিয়ে দিয়েছিল। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রমাণ লোপাট করা করা। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে শনিবারই সরব হয়েছিল বাংলার শাসক দল তৃণমূল।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজ্যটির কোনও উন্নতি হয়নি।” উত্তরপ্রদশের প্রশাসনকে ডবল ইঞ্জিন ডিজাস্টার বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। গতকালের সাংবাদিক বৈঠক তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা বাংলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অবান্তর কথা বলেন, তাঁদের কেউ কি এই ঘটনার পর যোগী রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার কথা বলেছেন?’’
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আজ উত্তরপ্রদেশের খেভরাজপুরে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠীকে প্রয়াগরাজের ঘটনাটির সত্য অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের রওনা হওয়ার খবর দিয়ে লেখা হয়, ‘তোমার হাতে রক্তের দাগ যোগী আদিত্যনাথ’।
সাকেত গোখলে বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিজেপি নিজের রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতা দিয়ে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ঘটনাটির ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসেনি। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার এবং বিজেপি যে রাজ্য শাসনে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথাই জনসমক্ষে তুলে ধরব আমরা।’’
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন। যোগী রাজ্যে এমন ঘটনায় আবারও প্রমানিত হল, আদপে ডবল ইঞ্জিন সরকার বিষয়টি মিথ্যাচার এবং নির্বাচনী চটক ছাড়া আর কিছুই নয়। উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা যে সম্পূর্ণরূপই ভেঙে পড়েছে এবং সেখানে মানুষের জীবনের যে কোন নিরাপত্তা নেই তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল খেবরাজপুর হত্যাকাণ্ড।