একের পর এক জেলায় বিক্ষোভের সুর, মুর্শিদাবাদের দুই বিজেপি নেতার পদত্যাগ
একের পর এক জেলায় বিক্ষোভের সুর, আরও বিপাকে বিজেপি! বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে ভাঙন স্পষ্ট। একের পর এক উপনির্বাচনে হারের পর রাজ্য নেতৃত্বের উপর প্রশ্ন তুলেছেন দলীয় নেতাদেরই একাংশ। এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বিজেপি-র মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার এবং জেলার কার্যকরী সমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার। রবিবার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দলে পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, ভোটের আগে কে বা কারা প্রার্থী হবে সেই নিয়ে কোনও আলোচনায় করেনি জেলা নেতৃত্ব, দাবি তাঁদের।
এই ইস্তফা প্রসঙ্গে তড়িৎ সরকার বলেন, “মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার যে সভাপতি রয়েছেন তিনি একনায়ত্ব চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আগেও সরব হয়েছি। তিনি বেশিরভাগ মণ্ডলে তৃণমূলের লোকজনদের জায়গা করে দিয়েছেন। তিনি কটু কথা বলেন। তাঁর একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই আমরা পদত্যাগ করেছি। আমরা দলত্যাগ করার পরিকল্পনা করছি না। যাঁরা দলে থেকেও অবহেলিত তাঁদের পাশে থাকব।”
একই সুর শোনা যায় প্রতাপ হালদারের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, “আমরা কাজ করতে চাই। রাজ্য সভাপতি আসছেন সেই খবরটুকু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমি দলের জন্য কাজ করব। কিন্তু, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাব।” অন্যদিকে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই শাখারভ সরকার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে যদি সকলে ভাবে সারাদিন ধরে টিভিতে মুখ দেখাবেন সেটা তাঁদের লক্ষ্য হতে পারে। অভিযোগ থাকলে ফোরাম রয়েছে। মিডিয়াকে বলে সমাধান করা যায় না। আমার কিছু বলার থাকলে দলকে বলব। আমার কাছে কোনও পদত্যাগপত্র জমা পড়েনি।”
কিছুদিন আগেই গৌরি শঙ্কর দে নিজের পদত্যাগপত্রে লিখেছিলেন, “২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার দু’বারের সভাপতি আমি… অধিকাংশ ক্ষেত্রে অদক্ষ, অযোগ্য, দুর্বল কার্যকর্তাদের সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে উপনির্বাচনগুলি হয়েছে সেখানে আমরা পর্যদুস্ত হয়েছি।” মোটের উপর মুর্শিদাবাদ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বারেবারে শিরোনামে উঠে আসছে।