নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে জেরবার ফ্রান্স, পুলিশের গুলিতে মৃত ২
জনরায়ের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার ফ্রান্সের ক্ষমতায় ফিরেছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসা সময়ের অপেক্ষা। হইহই করে জয় উদযাপনে মেতেছেন ম্যাকরঁ। কিন্তু তারই মাঝে দেশবাসীর একাংশের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়লেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। প্যারিসের (Paris) রাস্তা উত্তাল ম্যাক্রোঁ বিরোধী বিক্ষোভে। পরিস্থিতি সামলাতে রাতের শহরে কাঁদানে গ্যাস, গুলি চালাল পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নির্বাচন পরবর্তী ফ্রান্সে (France) ঘনিয়েছে অশান্তির মেঘ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ভোটগণনা হয় রবিবার। রাতের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায় জনরায়। অতি দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারিয়া লি পেঁ-কে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তাঁর ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোট, যা কিনা ১৯৬৯ সালের পর বড় ব্যবধান। ম্যাক্রোঁর সমর্থকরা এই জয়ের উদযাপন শুরু করতেই রাজধানী শহরে উলটো ছবি ধরা পড়ল।
শয়ে শয়ে মানুষ প্যারিসের রাস্তায় নেমে এই ফলাফলের বিরোধিতা শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের ছবি। বিক্ষোভকারীরা অধিকাংশই কমবয়সী। প্যারিসের সোরবোন এলাকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এবার ভোটদান থেকে বিরত ছিল। কারণ, ম্যাক্রোঁ এবং লি পেঁ’র মধ্যে কোনও প্রার্থীকেই তাঁদের পছন্দ ছিল না। আর সেই কারণেই ফলপ্রকাশের পর তাঁরা বিরোধিতায় নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্যারিসের এই জমায়েত হঠাতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের (Tear Gas) শেল ফাটায়। পুলিশের অভিযোগ, প্যারিসের প্রাচীন সেতুতে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে পুলিশের দিকে এগিয়ে আসছিল। তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। তাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গভীর রাতে প্যারিসের যেখানে ম্যাক্রোঁর সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন, ঠিক তার ২ কিলোমিটারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বড়সড় বিক্ষোভ এড়াতে গোটা প্যারিসজুড়ে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।