গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করেই আজ থেকে কলকাতায় বসছে সিনেমা উৎসবের আসর
সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব। স্বভাবতই নন্দন-রবীন্দ্র সদন চত্বর জুড়ে সাজ সাজ পরিবেশ। নানা রঙের কাপড় দিয়ে এক প্রকার মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা এলাকা। তবে একথা বলতেই হয়, এবারের চলচ্চিত্র উত্সবে সত্যজিত্ রায় প্রধান চরিত্র। বিভিন্ন জায়গায় এই পরিচালকের বিরাট বিরাট ছবি। শাল গায়ে মৃদু হেসে তিনিই যেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের স্বাগত জানাচ্ছেন।
এবারের উত্সবের থিম হল ফিল্ম রোল। বিভিন্ন ক্রিয়েটিভে এই আইকনিক ফিল্ম রোল দেখা যাচ্ছে। নন্দনের মূল প্রবেশদ্বারের মাথায় বিশালাকায় ফিল্ম রোল রয়েছে। শুধুই সত্যজিত্ নয়, উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেনেরও বিরাট মাপের ছবি দেখা যাচ্ছে। একটি বিশাল দেওয়াল জুড়ে রয়েছে সত্যজিত্ সৃষ্ট বিভিন্ন কালজয়ী ছবির পোস্টার। থাকছে নানা প্রকারের ইনস্টলেশন। তার সঙ্গে অবশ্যই থাকছে সেলফি জোন। অন্যান্য বারের মতো বিভিন্ন ফিল্ম ক্লাব তাঁদের প্রকাশনার সিনেমা বিষয়ক বই নিয়ে উপস্থিত থাকবে। আর খাওয়া-দাওয়া ছাড়া কি বাঙালির কোনও উত্সব হয়? একেবারেই নয়। কাজেই বিভিন্ন সংস্থার ফুডস্টল তো থাকছেই।
মহামারীর জন্য মাস কয়েক আগেই হোঁচট খেয়েছিল এই চলচ্চিত্র উত্সব। এবার আর ফিরে তাকানো নয়। বিকেলে নজরুল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে ২৭তম চলচ্চিত্র উত্সবের উদ্বোধন করবেন। তবে এবারে উত্সব হচ্ছে ছয় দিনের। সাধারণত উদ্বোধনের পরের দিন থেকে সাধারণের জন্য উত্সব শুরু হয়। এই বছর নজরুল মঞ্চে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সঙ্গেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে ছবির প্রদর্শনও শুরু হয়ে যাবে। এই প্রথম বৈশাখের প্রখর গরমে চলচ্চিত্র উত্সব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে উদ্যোক্তারা ভীষণভাবেই আশাবাদী। গরমের জন্য সিনেপ্রেমীরা যে বিশ্বের বাছাই করা ছবি দেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তীসহ সকলে। প্রত্যয়ী রাজ বলছিলেন, ‘গোটা নন্দন চত্বর জুড়েই আমরা বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তার সঙ্গে বিশ্বের খ্যাতনামা চলচ্চিত্রগুলোকেও ইনস্টলেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। যেদিকেই ক্যামেরা তাক করবেন, সেটিই সেলফি জোন হয়ে যাবে। এবারে গরমে চলচ্চিত্র উত্সব হচ্ছে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের ব্যবস্থা থাকছে। তবুও সকলকে অনুরোধ করব আপনারা ব্যাগে জল, ছাতা অবশ্যই রাখবেন। করোনা সতর্কতা মানবেন।’