মঙ্গলবার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফের চালু হচ্ছে উড়ান পরিষেবা
কাল, মঙ্গলবার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফের চালু হচ্ছে উড়ান পরিষেবা। যদিও রবিবার পর্যন্ত বিমানবন্দরের কাজ শেষ হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার উড়ান পরিষেবা চালু হলেও বিকেল ৫টার পর থেকে রানওয়ের অন্যান্য কাজ চলবে। তাই বিমান ওঠানামা করবে বিকেল ৫টা পর্যন্তই। অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই রুটিন বলবৎ থাকবে। গত ১৫ দিনে প্রস্থান ভবনের ফ্লোর টাইলস বদলানো হয়েছে। টয়লেট, ভিআইপি লাউঞ্জের সংস্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে উড়ান ওঠানামা বন্ধ। রানওয়ের কাজের জন্য ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে সমস্ত ধরনের বাণিজ্যিক উড়ান বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। ১১ এপ্রিলের আগে বিমানবন্দরের রানওয়েতে সমস্যা ধরা পড়ায় দু’বার থমকে যায় পরিষেবা।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমণি পি রবিবার বলেন, ২৬ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত সময়ে উড়ান চলাচল শুরু হবে। বিমান পরিষেবার জন্য রানওয়ে সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। নোটিস দিয়ে রানওয়ে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। তবে গোটা কাজ শেষ হতে আরও পাঁচমাস লেগে যাবে। তারপর উড়ান ওঠানামার সময় কিছুটা বাড়বে। দেড় বছর আগে রানওয়ে মেরামতের কাজ শুরু করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। সম্ভবত এ বছরের অক্টোবর নাগাদ তারা কাজ শেষ করে দেবে। আপাতত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এখন বিমান ওঠানামা করবে। রানওয়ের কাজ শেষ হলে রাতেও পরিষেবা দিতে পারব।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডের আগে এখানে ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হতো। এতে প্রথম উড়ানটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আসত। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে শেষ বিমানটি উড়ে যেত। রানওয়ের কাজ শেষ হলে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বিমানবন্দর। বর্তমানে এখানে ২৮টি উড়ান ওঠানামা করে। নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের ব্যাপারে ডিরেক্টর বলেন, ওই বিল্ডিংয়ের আর্কিটেকচার ও ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি টেন্ডার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার দিল্লির কর্পোরেট অফিসে হয়েছে। এ জন্য ১৬ মার্চ রাজ্য সরকার ৯২.৭২ একর জমি এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে হস্তান্তর করেছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং হবে আন্তর্জাতিকমানের। এখন এই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনটি ৪৫০ যাত্রীর উপযুক্ত। নতুন ভবনে কয়েকগুণ বেশি যাত্রী একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন। নতুন অ্যাপ্রনে একবারে ১০টি বিমান দাঁড়াতে পারবে। ১০টি এয়ার ব্রিজের সাহায্যে যাত্রীরা সরাসরি বিমানে উঠতে ও নামতে পারবেন।