২০২১-২২ অর্থবর্ষে তেল আমদানিতে ভারতের ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ!
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দর আকাশছোঁয়া। করোনা মহামারী থিতু হতেই বেড়েছে চাহিদা। যার জেরে দামও ঊর্ধ্বমুখী। সেইসঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা। তেল রপ্তানিতে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বালানির সঙ্কট। এই অবস্থায় ২০২১-২২ (এপ্রিল থেকে মার্চ) অর্থবর্ষে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির বিল প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। যেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিলের অঙ্ক ছিল ৬ হাজার ২২০ কোটি ডলার। শুধুমাত্র মার্চ মাসে তেল আমদানিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। যা ১৪ বছরে সর্বাধিক। অথচ, গত বছর মার্চ মাসে ৮৪০ কোটি ডলার মূল্যের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছিল ভারত। তেল মন্ত্রকের পেট্রলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেল (পিপিএসি)-এর তথ্য থেকে এখবর জানা গিয়েছে।
গত জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। মার্চ মাসের গোড়ায় সেই দর পৌঁছয় ১৪০ ডলার। তারপর থেকে ফের নামতে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের দাম। বর্তমানে এক ব্যারেল তেলের দাম ১০৬ ডলারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। পিপিএসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারত ২১ কোটি ২২ লক্ষ টন তেল আমদানি করেছে। যেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টন। গত বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও তা ২০১৯-২০ সালের পরিমাণকে ছুঁতে পারেনি। ওই বছর ভারত আমদানি করেছিল ২২ কোটি ৭০ লক্ষ টন। দেশের অপরিশোধিত তেলের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ৮৫.৫ শতাংশ আমদানির উপর নির্ভরশীল। তবে, তেল সংশোধনের ক্ষমতা উদ্বৃত্ত। কিন্তু, দেশে রান্নার এলপিজির উৎপাদন কম। তাই তা সৌদি আরব থেকে আমদানি করতে হয়।