আইপিএলে চেন্নাইকে ১১ রানে হারিয়ে দিল পঞ্জাব কিংস
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দু’টি দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি হতাশ করছে সেই দু’টি দলই। সোম-রাতেও যার ব্যতিক্রম হল না। কঠিন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ অম্বতি রায়ডু ও জাদেজার চোয়াল চাপা লড়াইয়েও জয় অধরাই থেকে গেল সিএসকের। আর সেই সঙ্গে প্লে অফে পৌঁছনোর পথও কার্যত বন্ধ হল সিএসকে’র।
উলটোদিকে টানা দুটো ম্যাচ হারের পর দু’পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে চাঙ্গা পাঞ্জাব শিবির।গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলসে উঠেছিলেন ফিনিশার ধোনি। গ্যালারি জুড়ে উঠেছিল ‘মাহি মার রাহা হ্যায়’ ধ্বনি। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চোখের পলকে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন এমএস। এদিনও যখন জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের ৪ বলে ২০ রান দরকার, তখন বুকে একরাশ আশা নিয়ে ধোনির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন হলুদ জার্সির সমর্থকরা। কিন্তু রোজ রোজ আর ম্যাজিক হয় না। এদিন হল না। আর তখন শেষ জয়ের স্বপ্ন।এদিন টস জিতে মায়াঙ্কদের ব্যাট করতে পাঠান জাদেজা। নিজে ফর্মে না থাকলেও সতীর্থদের কীর্তিতেই একাধিকবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। এদিনও ব্যর্থ মায়াঙ্ক। ১৮ রান করেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তবে ধাওয়ান ধামাকায় জমে ওঠে ওয়াংখেড়ে। ৯টি চার ও জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৯ বলে ৮৮ রান করেন পাঞ্জাব ওপেনার। ৪২ রান করে তাঁর যোগ্য সঙ্গ দেন ভানুকা রাজাপক্ষে। তাতেই লড়াইয়ের শক্ত ভিত তৈরি করে ফেলে পাঞ্জাব।
তবে টি-টোয়েন্টির মজা হল শুধু ভাল ব্যাটিং করেই আনন্দে থাকার উপায় নেই। বোলিং বিভাগকেও সমান ভাবে লড়াই করতে হয়। তা সে দলের রান ২০০ ছাড়িয়ে যাক না কেন। সম্প্রতিও সে উদাহরণ মিলেছে এই টুর্নামেন্টেই। শুরুটা উথাপ্পা, স্যান্টনার, শিবম দুবেদের উইকেট তুলে নিয়ে চেন্নাই টপ অর্ডারে ধাক্কা দিতে সফলই হন। তবে মূল্যবান দুটি উইকেট নেন রাবাডা।