সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে রাজি কেষ্ট, তবে মানতে হবে এই শর্ত
অবশেষে জোড়া মামলায় শর্তসাপেক্ষে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে কার্যত রাজি হলে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে আজ, সোমবার তদন্তকারীদের কাছে আইনজীবী মারফৎ লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। জানিয়েছেন, ২১ মে’র পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।
অবশেষে জোড়া মামলায় শর্তসাপেক্ষে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে কার্যত রাজি হলে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে আজ, সোমবার তদন্তকারীদের কাছে আইনজীবী মারফৎ লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। জানিয়েছেন, ২১ মে’র পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। কিন্তু কলকাতায় আসার পথে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি হন। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফেরেন। চিকিৎসকরা ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন তাঁকে। কিন্তু শনিবারই তাঁকে ফের তলব করে সিবিআই। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যাননি। সিবিআইয়ের কাছে ৪ সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। রবিবার আবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরাও এড়িয়ে যান। তবে এবার শর্তসাপেক্ষে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে রাজি হলেন তিনি।
এদিকে, সিবিআই তলবে অনুব্রতর না যাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের পর খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh )। তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দাবি, জেলে থাকলেই নিরাপদে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। নাহলে তাঁকে খুনও করা হতে পারে। দিলীপ ঘোষের আরও দাবি, অনুব্রত অনেক কিছু জানেন। সেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে খুন করা হতে পারে।