নকশাল নেতা কানু সান্যালের বাড়ির জমির দখল! তৎপর রাজ্য সরকার
৭০এর দশক। নকশালবাড়ি আন্দোলন। গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই আদর্শের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ের সূতিকাগার নকশালবাড়ি। যে নকশাল নেতা একদিন কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনে তাঁর ভিটেই আজ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৯৮৯ সাল থেকে এই টিনের চালার ছোট্ট বাড়িতেই থাকতেন কানু সান্যাল। একদিকে পার্টি অফিস ও অন্যদিকে এই বাড়ির একচিলতে ঘরই কার্যত আন্দোলনের সূতিকাগার। আর সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির পেছনের অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সিপিআই(এমএল) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কানু সান্যালের সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক দীপু হালদার বলেন, কানু দার বাড়ির জমি দখল হয়ে যাবে এটা কিছুতেই মানতে পারছি না।
এদিকে এই অভিযোগ চাউড় হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আজও পরিচিত নাম কানু সান্যাল। খবর চাউড় হতেই সোমবার দ্রুত ঘটনাস্থলে যান পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা। এনিয়ে প্রশাসনিক মিটিংও হয়। সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গেও দফায় দফায় আলোচনা করেন পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা। কোনওভাবেই যাতে এই জায়গা বেদখল হয়ে না যায় সেব্যাপারে সবরকমভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। এদিকে বাড়িটির পিছনে একটি মন্দিরও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এদিন দ্রুত এলাকায় গিয়ে মাপামাপি করেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা।
দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষার সেবদোল্লাজোত গ্রামে এই টিনের চালার বাড়িটি রয়েছে। এখনও অনেকে দেখতে আসেন এই বাড়ি। ২০১০ সালের ২৩শে মার্চ কানু সান্যালের মৃত্যুর পর থেকে এটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় পার্টি অফিস হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। তবে সবসময় এটি খোলা হয় না।