তীব্র গরম কাড়ল প্রাণ, তাপপ্রবহের জেরে মৃত্যু যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করা হল না। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে প্রাণ হারালেন যাদবপুর বিদ্যাপিঠের ছাত্রী। এমনটাই জানিয়ছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অনিশা আফরিন মণ্ডল। রমজানের জন্য উপোসও রাখতেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থও ছিলেন। পরিবারের দাবি, গত ২৪ এপ্রিল হিট স্ট্রোকেই প্রাণ হারান তিনি। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের (Jadavpur Vidyapith) প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, গত ২৩ তারিখ অর্থাৎ শনিবার নিউট্রিশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন অনিশা। আজ, মঙ্গলবারও ছিল পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও স্কুলে পৌঁছাননি অনিশা। তখনই তাঁর পরিবারকে ফোন করা হয় স্কুলের তরফে। পরীক্ষার্থীর বাড়ির সদস্যরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগেই জীবনের পরীক্ষায় হেরে গেলেন অনিশা।
করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার হোম সেন্টারেই হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। তীব্র গরমের মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। ছাত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে পানীয় জল, বিদ্যুতের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তাই এভাবে পরীক্ষার্থী প্রাণ হারালে সংসদের কিছু করার থাকে না।
উল্লেখ্য, তীব্র গরমে স্কুল পড়ুয়া ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল, সোমবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জেলাশাসকের একটি নির্দেশিকা পাঠায়। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হবে বুধবার। একই সঙ্গে শেষ হবে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা। সংসদ প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানীয় জল যাতে থাকে তা খেয়াল রাখতে বলেছে। একইসঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে যাতে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করা যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে বলেছে সংসদ।