তীব্র দাবদাহে বন্ধ থাকবে স্কুল? আজ সিদ্ধান্ত নেবেন শিক্ষামন্ত্রী
গরমের তীব্র দাপটে পুড়ছে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির দেখা নেই। ‘লু’ বইবার আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পথে-ঘাটে বেরিয়ে বড়রাই কাহিল হয়ে পড়ছেন। তাই খুদে সন্তানদের কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের গরমের ছুটি দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করল শিক্ষাদপ্তর। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্কুল বন্ধ রাখার ইঙ্গিতই দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। ছুটি দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, স্কুলশিক্ষা দপ্তর থেকে সোমবার ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিক স্কুল সকালে সেরে নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করার জন্য। যেখানে তা সম্ভব হবে না, তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রেও তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কলকাতার ডন বস্কো সহ বেসরকারি বেশ কিছু স্কুল ছোটদের ক্লাসের সময়সীমা গড়ে প্রায় দেড়-দু’ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। আজ থেকেই সেগুলি কার্যকর হবে।
২৬ এবং ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ওই দু’দিন একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিকও রয়েছে। এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ স্কুলগুলির কাছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার আবেদন রেখেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পরিস্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ওআরএস এবং জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, চারটি জেলার প্রাথমিক স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর একটি নির্দেশিকা ঘিরে এদিন বিভ্রান্তি ছড়ায়। পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় স্বয়ংক্রিয় হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্যাডে লেখা ওই বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র দাবদাহের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে উষ্ণ জেলাগুলিতে তড়িঘড়ি এই পদ্ধতি চালুর কোন বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়ো।