মাত্র দেড় মাসেই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ হাজার পার
বেড়েই চলেছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সমানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা পজিটিভিটি রেট এবং অ্যাকটিভ কেস। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবারই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে টিকাকরণই একমাত্র পথ। ফলে আগামী দিনে টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজে জোর দিতে হবে। শিশুদের জন্য স্কুলে স্কুলে বিশেষ টিকাকরণ অভিযানও চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০৩ জন। গতকাল যা ছিল তিন হাজারের সামান্য কম। এর মধ্যে দিল্লিতেই আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেস ১৬ হাজার ৯৮০ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটাই বেশি। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক পজিটিভিটি রেটও। সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৬ শতাংশ।
রিপোর্ট বলছে, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৯৩ জন। দিল্লির করোনা গ্রাফ চিন্তায় রাখলেও দেশে সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ২৮ হাজার ১২৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৫৬৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮৮ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৯ লক্ষের বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, দ্রুতই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেটা হলে আরও বাড়বে টিকাকরণের হার।