কেমোথেরাপি চলাকালীন চাকরির ইন্টারভিউ! কুর্নিশ জানাল সংস্থা
লড়াইটাই বড়, জেতা-হারার থেকে বেশি। সবার আগে এর ফলে বাড়ে নিজের প্রতি সম্মান। অর্শ নন্দন প্রসাদ (Arsh Nandan Prasad) নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করলেন একথা। কে অর্শ নন্দন? হঠাৎ তাঁর কথা উঠছে কেন?
অর্শ নন্দন একজন ক্যানসার যোদ্ধা (Cancer Warrior)। ভাগ্যের পরিহাসে সে অবশ্য অনেকেই হয়। আসল কথা অসুস্থ শরীরেও তিনি যা করেছেন, তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে দেশে। হাসপাতালে কেমোথেরাপি চলাকালীন চাকরির জন্য একাধিক সংস্থায় ইন্টারভিউ দিয়েছেন অর্শ। অর্থাৎ কিনা একসঙ্গে দুটো যুদ্ধ চালিয়েছেন। একদিকে মারণ রোগের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই, অন্যদিকে বেকারত্বের জ্বালা মেটানোর চেষ্টা। সম্প্রতি লিঙ্কডিনের (LinkedIn) নিজের প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেন অর্শ। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের বেডে বসে আছেন তিনি। সামনে একটি ল্যাপটপ। ছবিটি ভাইরাল হয়। একাধিক ব্যক্তি লিঙ্কডিনে এই ছবি শেয়ার করেন। এরপরেই অর্শকে নিয়ে শোরগোলের শুরু।
অর্শ জানিয়ে ছিলেন, ওই ছবিটি আসলে একটি অনলাইন ইন্টারভিউর। কেমো সেশনের মাঝপথেই যা দেন তিনি। অর্শ আরও জানান, যোগ্যতা থাকলেও স্বাস্থ্যের কারণে, রোগের কথা শুনে সংস্থাগুলি তাঁকে নিয়োগ করতে চাইছে না। অর্শের বক্তব্য, “আপনি যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তবু নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। তারপরেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন, তখন স্পষ্ট হয় এই সংস্থাগুলি আদৌ কতখানি উদার!” অর্শ আরও জানান, “যাঁরা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, যেই শুনছেন ক্যানসারের কথা, ওমনি চোখ-মুখ বদলে যাচ্ছে তাঁদের ! আমি কিন্তু কারও সহানুভূতি চাই না! বরং প্রমাণ করতে চাই নিজেকে!” শেষ অবধি অর্শের লড়াই সম্মান পেয়েছে।
মহারাষ্ট্রের একটি অ্যাপলায়েড ক্লাউড কম্পিউটিং সংস্থা অর্শের পাশে দাঁড়িয়েছে তো বটেই, তাঁকে কুর্নিশও জানিয়েছে।ওই সংস্থায় অর্শকে সসম্মানে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার সিইও (CEO) নিলেশ সতপুতে অর্শের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনি একজন যোদ্ধা। অনুরোধ করছি, চিকিৎসা চলাকালীন আর ইন্টারভিউ দেবেন না। আমি যাচাই করেছি, আপনি যোগ্য। সুবিধা মতো যে কোনও সময় আমাদের সংস্থায় যোগ দিতে পারেন। এর জন্য কোনও ইন্টারভিউর প্রয়োজন নেই।”