উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আজব ঘটনা! ভূতের ভয়ে ধুপগুড়িতে বন্ধ মিড ডে মিলের রান্নাঘর

April 29, 2022 | 2 min read

‘ভূতের ভয়ে’ বন্ধ মিড ডে মিলের রান্নাঘর! জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির কালীরহাটে একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। সেখানে রান্না করেন না কেউ। বাইরে থেকে রান্না করে স্কুলে খাবার দেন কর্মীরা। গ্রামবাসী ও ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকাদের বক্তব্য, করোনার সময় ওই রান্নাঘরেই বাবা ও ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে.আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তারপর থেকে সকলেই বলে ওখানে নাকি অশরীরী আত্মা রয়েছে। এই আতঙ্কে ওই ঘর কেউ খোলেন না। শুধু তাই নয়, দিনেরবেলাতেও ওই ঘরের পাশে  কেউ যেতে চান না। আর মিড ডে মিল পরিষেবায় তার প্রভাব পড়ছে। যদিও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকাদের দাবি, যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী রান্নার দায়িত্বে আছে তারা বাইরে থেকে রান্না করে এনে পড়ুয়াদের বণ্টন করছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ভূতের আতঙ্কে তাঁরা সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে পাঠান না। দ্রুত ওই রান্নাঘর ভেঙে ফেলা ও নতুন করে একটি রান্নাঘর নির্মাণ করার দাবি তুলেছেন সহায়িকারা। 


ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরহাটে রয়েছে তেতুঁলতলা এসএসকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডের কারণে লকডাউন চলাকালীন বন্ধ শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের রান্নাঘরে কিছুদিনের ব্যবধানে দু’টি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই দু’জন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তারপর থেকেই সেখানে ভূতের ভয় গ্রামবাসীদের মধ্যে জাঁকিয়ে বসে। এমন অযৌক্তিক চিন্তাধারা রোধে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ একাধিকবার গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেও কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, এখনও ওই রান্নাঘরের পাশে গেলে গা ছমছম করে। সহায়িকারাও জানিয়েছেন, তাঁরা দিনেরবেলাতেও ওদিকে যান না। রান্নাঘর বন্ধ থাকলেও মিড ডে মিল কিন্তু বন্ধ নেই, দাবি তাঁদের। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রতিদিনই অন্যত্র রান্না করে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন। তাঁরাই শিশুদের রান্না করা খবার পরিবেশন করছেন। 

এই শিক্ষাকেন্দ্রে ৪২জন ছাত্রছাত্রী ও চারজন শিক্ষিকা রয়েছে। মিড ডে মিলের রান্নাঘরের সামনেই থাকা একটি শ্রেণিকক্ষও এখন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের এক সহায়িকা হিরণ্ময়ী রায় সরকার বলেন, ছাত্রছাত্রীরা ছোট। ওরা সেখানে যেতে ভয় পায়। তাই মিড ডে মিলের ঘরের দিকে কেউ যাতায়াত করে না। সেখানে ভূতপ্রেত আছে বলে কমবেশি সকলের অনুমান। আমরাও ওদিকে সচরাচর যাই না। মাগুরমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাবেরি রায় বলেন, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের রান্নাঘরে বাবা ও ছেলে গলায় দড়ি দিয়েছিল। তাই ওই ঘরে কেউ যেতে চান না। সহায়িকারা নতুন জায়গায় রান্নাঘরের দাবি জানিয়েছেন। অন্য কোথাও রান্নঘর করে করা যায় কি না দেখব। ভূতপ্রেত বলে কিছু নেই, এটা গ্রামবাসীদের বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাঁরা কান দিচ্ছেন না। অভিভাবক ভারতী রায়, সূচিত্রা হাজরা প্রমুখ বলেন, যে ঘরে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সেখানে ভয় থাকাটা স্বাভাবিক। মাঝেমধ্যে ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাই না। সন্তানকে স্কুলে দিতে এসেও আমরা ওদিকে তাকাই না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jalpaiguri, #rumour, #Ghost, #kalirhat, #West Bengal, #mid Day Meal

আরো দেখুন