অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির
‘ঠগবাজ’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে এবার আরও বিপাকে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। অভিনেত্রীর ৭ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার অবৈধ অর্থ বাজেয়াপ্ত করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই জালিয়াতির তদন্তে নেমেই আধিকারিকরা জানতে পারেন, এর মধ্যে জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez) অবৈধ সম্পত্তির পরিমাণ ৭.২৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৭.১২ কোটি টাকাই ফিক্সড ডিপোজিট। বাকি ১৫ লক্ষ টাকা জ্যাকলিনের হয়ে একজন চিত্রনাট্যকারকে দিয়েছিলেন সুকেশ। এছাড়াও ওই ঠগবাজের থেকে ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার পেয়েছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী। মোট ৭.২৭ কোটির অবৈধ অর্থই এদিন বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
গত বছরই অফ ক্যামেরায় শিরোনামে উঠে এসেছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়ানোয় দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি ‘ঠগবাজ’ চন্দ্রশেখর। জ্যাকলিনের সঙ্গে এই সুকেশের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রানুসারে, সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ছিল চন্দ্রশেখর। ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছিল, চেন্নাইয়ে চারবার সাক্ষাৎ হয় জ্যাকলিন ও চন্দ্রশেখরের। অভিযোগ, সুকেশের হাতে যে আইফোন ১২ রয়েছে, তা দিয়েই তিনি ইজরায়েলের সিমকার্ডের সাহায্যে প্রতারণা করছিলেন।
এরপর গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয় জ্যাকলিনকে। অভিনেত্রীকে ৮ ডিসেম্বর ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ ঘণ্টা ধরে ইডি আধিকারিকরা জেরা করেন শ্রীলঙ্কান সুন্দরীকে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলার (PMLA) আওতায় জ্যাকলিনের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। শোনা যায়, এর আগে সুকেশের কাছ থেকে গুচ্চির ব্যাগ, জিমের পোশাক, দামি ব্র্যান্ডের জুতো, দু’টি হীরের আংটি, একাধিক ব্রেসলেট পেয়েছিলেন ইডি অফিসাররা।