নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনায় যোগ দিতে কেরল যাচ্ছেন বাংলার মহিলা বিধায়ক ব্রিগেড
নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে বিতর্ক। সংসদ বা বিধানসভায় নারীদের জন্য অন্তত ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা নিয়েও দেশের রাজনৈতিক দলগুলি এখনও ঐক্যমতে আসতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকারী নারীদের উপর নানা ধরনের নির্যাতনের ঘটনাও ঊর্ধ্বমুখী। সামগ্রিক এই প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবকে মাথায় রেখে এবার বামশাসিত কেরলের বিধানসভা একটি জাতীয় আলোচনাচক্রের আয়োজন করতে চলেছে। আর দু’দিনব্যাপী সেই আলোচনাচক্রে অংশ নিতে বাংলা থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজার নেতৃত্বে অন্তত পাঁচজন মহিলা বিধায়ককে তিরুবনন্তপুরম পাঠাচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে এই ধরনের আলোচনাচক্রের মঞ্চকে ব্যবহার করে শশীদেবীরা যাতে কেন্দ্র এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলা নির্যাতনের ঘটনাগুলি নিয়ে বেশি করে সরব হতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই কেরলে বাংলার মহিলা বিধায়ক ব্রিগেডকে পাঠানোর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর মিলেছে নবান্নের সর্বোচ্চ মহল থেকেও। তবে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর ভাবনা রয়েছে উদ্যোক্তাদের।
সূত্রের খবর, আগামী মাসে ১৯ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আলোচনার ওই আসর। কেরল বিধানসভার অধ্যক্ষ এমবি রাজেশ এর মূল উদ্যোক্তা। আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। থাকবেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এছাড়া মোদি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনে সম্মতি জানালেও, এখনও সঠিক দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে বার্তা পাঠাননি বলে জানিয়েছেন রাজেশ। তাঁর কথায়, লোকসভা ও রাজ্যসভার মহিলা সাংসদদের টিমও অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। এছাড়া একজন মহিলা অধ্যক্ষ সহ সকল রাজ্য থেকেও আসবেন মহিলা বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যরা। দু’দিন আলোচনার পর একদিন সকলের ‘ভ্রমণের’ আয়োজনও করা হচ্ছে। অন্তত ২৫০ জন ধরে নিয়ে তাঁদের আপ্যায়নের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিধানসভার তরফে। তিনি জানান, মমতাদেবীকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও আমাদের ভাবনার মধ্যে রয়েছে।