পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভোলবদল ‘বেসুরো’ বিজেপি নেতা অর্জুনের?
পাট শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ‘বেসুরো’ ছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এই আবহে গতকালই তাঁকে দিল্লি তলব করা হয়েছিল। যেই পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে অর্জুন সুর চড়িয়েছিলেন, সেই মন্ত্রীর সঙ্গেই গতকাল বৈঠকে বসেন বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অবশ্য বিদ্রোহ শেষের ইঙ্গিত দিলেন অর্জুন। আলোচনা ‘সদার্থক’ হয়েছে ইঙ্গিত করে একটি টুইটও করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
পীযূষ গয়ালের সঙ্গে দাঁড়িয়ে একটি ছবি টুইট করেন অর্জুন। তাতে দু’জনকেই হাসি হাসি মুখে দেখা যায়। টুইট বার্তায় বিজেপি সাংসদ লেখেন, ‘আমার অনুরোধে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীষূষ গয়ালজি আজ রাতে তাঁর বাড়িতে আমাকে বৈঠকের জন্য ডেকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে পাট চাষি, কর্মী এবং পাটশিল্পের সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের ফল যথেষ্ট ইতিবাচক। আশা করছি, দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে পাটশিল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর নিশানাতে ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীও। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন অর্জুন সিং। এই আবহে গতকাল অর্জুন সিংকে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়। শনিবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটের বিমানে নয়াদিল্লি যান তিনি। অর্জুনের বক্তব্য ছিল, চটকলগুলি পাটচাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা পণ্যের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রবল সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করেছিলেন অর্জুন। তবে তাতে তেমন সাড়া পাননি তিনি। তার পরেই রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। এরপরই বিদ্রোহ ঠেকাতে অর্জুনকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়।