মলোকাই চ্যানেল জয় করে অনন্য রেকর্ড গড়লেন বঙ্গ তনয়া সায়নী দাস
মলোকাই চ্যানেল জয় করে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন কালনার মেয়ে। তবে এখানেই থামনে নারাজ তিনি। রেকর্ড গড়ার পরদিনই স্থির করে দিলেন নিজের পরবর্তী লক্ষ্য। জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও। ‘সপ্তসিন্ধু’ জয় করে, তবেই থামবেন, বলছেন সায়নী দাস (Sayani Das)।
‘জলকন্যা’ সায়নী দাসের পরের লক্ষ্য নিউজিল্যাণ্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল। শনিবার এমনটাই জানালেন সায়নী দাস নিজে। পাশাপাশি খোলসা করলেন সপ্তসিন্ধু জয়ের পরিকল্পনাও। এ প্রসঙ্গে বাংলার জলকন্যা বলেন, “সপ্তসিন্ধু জয়ই আমার লক্ষ্য। শুধু ভারতে নয়, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে যিনি একমাত্র সপ্তসিন্ধু জয় করেছেন, তিনি হলেন মহারাষ্ট্রের রোহন মোড়ে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আমিও রোহন স্যারের মত সপ্তসিন্ধু জয় করতে চাই। তবে সামনের লক্ষ্য নিউজিল্যাণ্ডের কুক স্ট্রেইট।”
ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন জলকন্যা। নিউজিল্যান্ডের ‘কুক স্ট্রেইটে’ নামার জন্য ২০১৯ সালেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষর কাছে আবেদন করে রেখেছেন। আগামী ৩ মে কালনার ফিরছেন বাড়ি। তার পর কিছুদিনের বিশ্রাম। তার পরই লক্ষ্যপূরণের জন্য ফের প্রস্তুতি শুরু করবেন সায়নী। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, “মলোকাই চ্যানেল জয়ের আগে আমি ইংলিশ, রটনেস্ট, ক্যাটলিনা চ্যানেল জয় করি। যদিও রটনেস্ট ছাড়া বাকি তিনটি চ্যানেল সপ্তসিন্ধুর মধ্যে পড়ে।”
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় যারা সাতটি চ্যানেল পাড় করতে পারেন তাঁরাই সপ্তসিন্ধু জয়ের স্বীকৃতি ও শিরোপা পান। সপ্তসিন্ধুর মধ্যে যে চ্যানেলগুলি রয়েছে সেগুলি হল, ইংলিশ, ক্যাটলিনা, মলোকাই, সুগারু, জিব্রাল্টার, কুক স্ট্রেইট ও নর্থ চ্যানেল। মলোকাই চ্যানেল হল এই সপ্তসিন্ধুর মধ্যে দীর্ঘতম। যা পেরতে ১৯ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে সায়নীর। তাঁর কথায়, “চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন ছিল। সপ্তসিন্ধুর মধ্যে আরও চারটি চ্যানেলের জয় আমার বাকি রয়েছে। সেইগুলিকে জয় করে আমাদের ভারতের জাতীয় পতাকা গর্বের সাথে উত্তোলন করতে চাই।”