দেশের আদালতগুলিতে ঝুলে ৪ কোটি মামলার পাহাড়! সরব প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা
বিচারব্যবস্থার উপর অযাচিত চাপ এবং মামলার বোঝা নিয়ে শনিবারই প্রধান বিচারপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে সরব হয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (NV Ramana)। একদিন বাদেই ফের বিচারব্যবস্থার দৈনদশা নিয়ে সরব হলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি রামানা রবিবার জানিয়েছেন, ভারতের আদালতগুলিতে অন্তত ৪ কোটি মামলা ঝুলে রয়েছে। অথচ বিচার করার মতো বিচারপতি নেই।
এদেশে বিচারের বাণী যে কেন নীরবে নিভৃতে কাঁদে, তার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি রামানা এদিন জানিয়েছেন, দেশের নিম্ন আদালতগুলিতে বিচারকের সংখ্যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় বিচারক বা বিচারপতির সংখ্যা মাত্র ২০। যে হারে মামলার সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই বিচারকের সংখ্যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। বিচারপতি রামানা জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতগুলিতে ২৪ হাজার বিচারকের পদগুলির অধিকাংশই ফাঁকা রয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই প্রধান বিচারপতি মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিদের (CJI) সম্মেলনে বলেন, সংবিধান রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে তিনটি সমান ভাগে ভাগ করেছে। প্রত্যেকেরই উচিত খেয়াল রাখা, যেন কেউ ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম না করে। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে রামানা বলেন, ”সংবিধান রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সমান তিনটি শাখার মধ্যে বণ্টন করেছে। এই তিন শাখার মধ্যে ক্ষমতার সমবণ্টনই গণতন্ত্রের কাঠামোকে মজবুত করে। নিজেদের দায়িত্ব পালন করার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম না করি।”
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কারণে উটকো যেসব জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, বহু ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটাতে এই ধরনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, অনেক সময় আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় থাকছে সরকার। অর্থাৎ, শনিবার একপ্রকার সরাসরিই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হন রামানা। এদিন ফের তাঁর এই মন্তব্যের নিশানাতেও ছিল সেই কেন্দ্র সরকারই।