১৩ রানে ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে প্লে-অফের দিকে আরও এক ধাপ এগোল বেঙ্গালুরু
হারের হ্যাটট্রিকের পরে জয়ে ফিরল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৩ রানে হারালেন বিরাট কোহলীরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৩ রান করে বেঙ্গালুরু। ভাল খেলেন মহিপাল লোমরোর ও দীনেশ কার্তিক। চেন্নাইকে সেই রান তাড়া করতে দেননি বেঙ্গালুরুর বোলাররা। এই ম্যাচে জেতার ফলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় প্রথম চারে উঠে এলেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিরা। অন্য দিকে আগের ম্যাচ জিতলেও এই ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হল ধোনিদের।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ডুপ্লেসি ও কোহলী। প্রথমে কিছুটা ধরে খেললেও হাত সেট হয়ে যাওয়ার পরে বড় শট খেলা শুরু করেন তাঁরা। কোহলীর থেকেও আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ডুপ্লেসিকে। দু’জনকে ভয়ঙ্কর হতে দেখে মইন আলির হাতে বল তুলে দেন ধোনি। তাতেই এল সাফল্য। ৩৮ রানের মাথায় ডুপ্লেসিকে আউট করে বেঙ্গালুরুকে প্রথম ধাক্কা দিলেন মইন। রান পাননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কোহলীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রানআউট হন তিনি। কোহলীকে ৩০ রানের মাথায় আউট করে বেঙ্গালুরুকে বড় ধাক্কা দেন মইন।
তিন উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন রজত পাতিদার ও মহিপাল লোমরোর। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ২১ করে আউট হন পাতিদার। ভাল খেললেন লোমরোর। কিন্তু ৪২ রানের মাথায় তিনি আউট হওয়ার পরে খেই হারাল বেঙ্গালুরু। একই ওভারে লোমরোর, হাসরঙ্গ ও শাহবাজ আহমেদকে আউট করেন মাহিশ থিকশানা। শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলেন দীনেশ কার্তিক। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে শেষ হয় কোহলীদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। আগের দিনের ছন্দেই ব্যাট করছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। দু’জনের মধ্যে ৫১ রানের জুটি হয়। বেঙ্গালুরুকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শাহবাজ। রুতুরাজকে ফেরান তিনি। তার পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে রবিন উথাপ্পা ও অম্বাতি রায়ডুকে আউট করেন ম্যাক্সওয়েল। এক দিকে ভাল খেলছিলেন কনওয়ে। অর্ধশতরান করেন তিনি। ৫৬ রান করে হাসরঙ্গর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে শাহবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কনওয়ে।
কনওয়ে আউট হওয়ার পরে ভাল খেলছিলেন মইন়। কয়েকটি বড় শট খেলেন তিনি। কিন্তু জাডেজা রান পাননি। তাঁর কঠিন ক্যাচ ধরেন কোহলী। মইনের সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। ৩৪ রান করে হর্ষলের বলে আউট হন মইন। আরও চাপে পড়ে যায় সিএসকে। ধোনিও ২ রান করে আউট হয়ে যান। শেষ দিকে ভাল বল করেন হর্ষল ও হ্যাজলউড। ফলে অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচ জিততে পারেনি চেন্নাই।