রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মানুষের পাশে মমতার সরকার! করোনাকালে পিএফ-ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৩৫ টাকা দিয়েছে রাজ্য

May 5, 2022 | 2 min read

বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একটা সময় এই প্রকল্পের আওতায় থাকতে গেলে সদস্যদের নিয়মিত নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা মেটাতে হতো। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। করোনাকালের দু’বছরে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ১ লক্ষ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ আর্থিক সুরাহা পেলেন প্রকল্পটির হাত ধরে। তাঁরা মোট ৩৩৫ কোটি টাকার সুরাহা পেয়েছেন।

রাজ্যে যত শ্রমিক ও কর্মচারী রয়েছেন, তাঁদের অন্তত ৯৫ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। সেই কারণেই সামাজিক সুরক্ষা বলতে তাঁদের তেমন কোনও সুবিধা নেই। তাঁরা যাতে সেই সুবিধা পান, তার জন্য ২০১৭ সালে শ্রমদপ্তরের আওতায় রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু হয়। সেই সময় প্রতি মাসে কর্মীদের ২৫ টাকা করে দিতে হতো এই প্রকল্পে। সেক্ষেত্রে ওই শ্রমিক বা কর্মচারীর হয়ে প্রতি মাসে ৩০ টাকা জমা দিত রাজ্য সরকার। ২০২০ সালের এপ্রিলে সরকার শ্রমিক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসে ২৫ টাকা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। মোট ৫৫ টাকা শ্রমিকের নামে জমা করা শুরু করে সরকার নিজেই। নতুনভাবে এর নামকরণ হয় বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা। 

শ্রমদপ্তরের তথ্য বলছে, করোনাকালের প্রথম বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই যোজনায় সরকারি সুবিধা পেয়েছেন ৯২,৭৮৭ জন শ্রমিক ও কর্মী। তাঁদের জন্য সুরক্ষায় রাজ্য সরকার খরচ করেছে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা। তার পরের বছর (২০২১-২২)এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৭৯,৪৭১ জন। সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা।  

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পটিতে এখন যে সুবিধাগুলি পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম পিএফের সুবিধা, স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনাজনিত  মৃত্যুতে পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিলে, সেই সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ। শ্রমদপ্তরের কর্তারা বলছেন, গত দু’বছরে সরকার এই প্রকল্পে যে টাকা মিটিয়েছে, তার বেশিরভাগ গিয়েছে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণে। গত অর্থবর্ষে সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় কম হলেও, অনুদান দিতে সরকারের খরচ বেড়েছে অনেকটাই। এর মূল কারণ করোনা। যেহেতু গত অর্থবর্ষে সংক্রমণের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ এসেছে এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, তাই সরকারের অনুদানের অঙ্কও বেড়েছে। যখন করোনা আসেনি, অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সরকারের এই প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা দিতে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। কিন্তু সেবার সুবিধা পেয়েছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। 
   

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #Nabanna, #provident Fund, #Compensation

আরো দেখুন