জ্বালানির অভাবে বাতিল হতে চলেছে শতাধিক ট্রেন, তবুও ‘শ্রী রামায়ণ যাত্রা’ চালাবে রেল
দেশজুড়ে জ্বালানির অভাব, কয়লা সংকটে ভুগছে গোটা দেশে। দেশে একের পর এক ট্রেন বাতিল হচ্ছে। কিন্তু মাঝেও অক্ষত বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতি। মোদী আমলে ধর্মকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও তাই হল। গণপরিবহনকে গোল্লায় পাঠিয়ে গুরত্ব দেওয়া হল বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধিকে।
রামায়ণের সঙ্গে যুক্ত নানান দর্শনীয় স্থানকে ছুঁয়ে যাত্রা করবে গৌরব ট্যুরিস্ট ট্রেন। যার আরেক নাম ‘শ্রী রামায়ণ যাত্রা’ ট্রেন। ইতিমধ্যেই ট্রেনটির সম্পূর্ণ সফরসূচি ও ভাড়ার কথা ঘোষণা করেছে আইআরসিটিসি। আগামী ২১ জুন শুরু হবে ট্রেনটির যাত্রা। প্রথম গন্তব্য রামের জন্মস্থান অযোধ্যা। পর্যটকরা শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির ও হনুমান মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে অবস্থিত রামানুজ ভরতের মন্দিরেও নিয়ে যাওয়া হবে পর্যটকদের।
এরপর ট্রেন যাবে বিহারের বক্সারে। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের আশ্রম ঘুরে পর্যটকরা পৌঁছে যাবেন সীতামারিতে। সীতামারি সীতার জন্মস্থান। সেখান থেকে সড়কপথে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে নেপালের জনকপুরে। সীতামারির পরে ট্রেন পৌঁছবে বারাণসীতে। কাশীতে সীতামন্দির দেখার পাশাপাশি প্রয়াগ, শ্রিংভেরপুর ও চিত্রকূটে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে সড়কপথে। রাতে রাখা হবে হোটেলে।
এরপর ট্রেন যাবে নাসিকে। সেখানে ত্রম্বকেশ্বরের মন্দির ও পঞ্চবটী দেখার পরে এরপর পর্যটকদের গন্তব্য হাম্পি, কিষ্কিন্ধ্যা। সেখানে হনুমানের জন্মস্থান ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান ঘুরে দেখবেন তাঁরা। এরপর কাঞ্চিপুরম। সেখানে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে শিব কাঞ্চি, বিষ্ণু কাঞ্চি ও কামাক্ষী মন্দির। সবশেষে তেলেঙ্গানার ভদ্রচলমে পৌঁছবে ট্রেন। ‘দক্ষিণের অযোধ্যা’ বলা হয় এই স্থানকে। এরপর ট্রেন ফিরবে দিল্লিতে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতের প্রাণ হল রেল। চিকিৎসা থেকে শুরু করে পঠনপাঠনের জন্য যাওয়া, নানান কাজে গণপরিবহণের মাধ্যম হিসেবে রেলকেই বেছে নেন অধিকাংশ ভারতীয়। কয়লার ঘাটতির কারণে এবং জ্বালানি সংকটে যখন একের পর এক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে, তখন কেন এমন ধরনের সফর চালু করা হচ্ছে। তবে কি; সাধারণ মানুষের জন্য নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণই বিজেপির আসল লক্ষ্য? এ প্রশ্ন থেকেই যায়।