মৃত্যু নিয়ে বাংলায় জঘন্য রাজনীতি করছে শাহ’রা, তোপ তৃণমূলের
বাংলায় এসেই মৃত্যু নিয়ে জঘন্য রাজনীতি করছে শাহ, সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল জোড়াফুল শিবির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে ময়না তদন্তের আগেই বলে দিলেন কাশীপুরে অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু আসলে খুন, প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস৷ বাংলার শাসক দলের আরও প্রশ্ন, বাংলার পরিস্থিতি খারাপ এ কথা কী করে জানলেন শাহ? তারপরই তৃণমূলের কটাক্ষ, “অমিত শাহ কি এক জন জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছেন? কী করে বুঝলেন রাজনৈতিক খুন? বিজেপির দ্রুতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এবং মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা নিয়েও সওয়াল করে তৃণমূল।
কাশীপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সকাল থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে৷ এই ঘটনায় পিছনে তৃণমূল আছে বলেও অভিযোগ করে তারা৷ স্বাভাবিক ভাবেই এহেন দাবির পর বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে তৃণমূল৷ প্রথমে কুণাল ঘোষ পরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন৷
তৃণমূল ভবন থেকে চন্দ্রিমা বলেন, বাংলার শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠছে না৷ তাই অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে৷ চন্দ্রিমার প্রশ্ন, কী ভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে থেকেই জেনে গেলেন, অর্জুনকে খুন করা হয়েছে৷ উনি কি জ্যোতিষ চর্চা করছেন? একটা মৃত্যুর তদন্ত শুরুর আগে তাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন চন্দ্রিমা৷
সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ” বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জঘন্য প্রচেষ্টা। মৃত্যুর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো হচ্ছে।” তিনি তুলে দেন,”এটা পরিকল্পিত ঘটনা নয় তো?”। কোর্ট ও সিবিআইয়ের প্রসঙ্গে শাহের উদ্দেশ্য হুঁশিয়ারি জানিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, “ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কোর্টের জুজু দেখিয়ে লাভ হবে না। ২০১৪ সাল থেকে ওঁরা ক্ষমতায়, সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এবার কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাক্ষী হিসেবে দেখতে পাবো?”