রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি দিতে ৬,৮৬১টি অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টি, জানাল রাজ্য সরকার

May 6, 2022 | 2 min read

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের বর্ষপূর্তি। আর সেই দিনেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একজোড়া সুখবর। বৃহস্পতিবার একদিকে প্যানেলভুক্ত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি দিতে ৬,৮৬১টি অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টির কথা জানাল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ঘোষণা, প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদেও হবে নতুন নিয়োগ। সেব্যাপারে দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে তারা। অর্থাৎ ছ’বছর পর এসএসসিতে নিয়োগের দরজা ফের খুলতে চলেছে।

এদিন ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। আলোচনা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এই বাড়তি শূন্যপদ সৃষ্টির সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০১৬ সালের পরীক্ষার মাধ্যমে তৈরি প্যানেলে নাম থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদপ্রার্থীদের একটা অংশ চাকরি পাননি। প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ো রোডের সংযোগস্থলে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। ঈদের দিন রেড রোডে নামাজের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফোনে কথা বলেন। বিক্ষোভকারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। অন্যদিকে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের ঘোষণায় সেই প্রতিশ্রুতিগুলিই মান্যতা পেল। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

এসএসসির পুরনো প্যানেলগুলির মেয়াদ ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। শূন্যপদ বাড়ানোর পাশাপাশি সেগুলির বৈধতাও চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে রাজ্য। অর্থাৎ, এবছরের মধ্যেই প্যানেলভুক্তদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘এর ফলে কি প্যানেলে থাকা সকলেই চাকরি পেয়ে যাবেন?’ এর উত্তর অবশ্য এড়িয়ে যান ব্রাত্যবাবু। ওয়াকিবহাল মহলের অবশ্য ধারণা, শূন্যপদের হিসেব অনুযায়ী আন্দোলনরত সহ প্যানেলের প্রায় প্রত্যেকেরই চাকরি পেয়ে যাওয়ার কথা। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘ ছ’মাস দপ্তরে আলোচনা চলেছে বলে দাবি মন্ত্রীর। তারপরেই বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে শূন্যপদ বাড়ানোর প্রস্তাব ক্যাবিনেটে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্যানেলভুক্তদের মধ্যে অতিরিক্ত প্রায় দেড় হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তবে, সেই নিয়োগ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।  

অন্যদিকে এসএসসি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি তৈরি করে শিক্ষাদপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতিগত বিষয়টিতে এবার হাত দেবে তারা। তবে, শূন্যপদ নিয়ে এদিন পর্যন্ত কোনও তথ্য এসএসসির হাতে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ২,২০০। পরে তা দ্বিগুণ হওয়াও অসম্ভব নয়। আর সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৩৫ হাজারের আশপাশে।

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক এবং গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি পদে শূন্যপদ বেড়েছে ৫২৬১টি
কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি এবং শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি বাড়তি শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে
প্রধান শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২,২০০ শূন্যপদ থাকলেও পরে তা অনেকটাই বাড়ার সম্ভাবনা
সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ পৌঁছতে পারে ৩৫ হাজারে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#SSC

আরো দেখুন