‘অশনি’ পরিণত হচ্ছে গভীর নিম্নচাপে, তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে
চাঁদিফাটা গরম থেকে স্বস্তি মিলতেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। মধ্য আন্দামান সাগরের উপরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তরে-পশ্চিমে যাবে। আজ, শনিবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৮ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ১০ তারিখ এটি অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে আগামী ১০ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হবে। মঙ্গল থেকে শুক্র পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের জেলা এবং ওডিশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া দাপট দেখা যেতে পারে। মঙ্গল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আজও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৬৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৩১ শতাংশ।
ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওডিশার উপকূলের দিকে থাকলেও এ রাজ্যে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় শুক্রবার মুখ্যসচিব দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্বল সেতুগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি করতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার কন্ট্রোলরুমগুলিকে সক্রিয় রাখতে বলা হয়েছে।