রাজ্যে ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর
শীঘ্রই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে নতুন নিয়োগ। দু’দিন আগে ঘোষণা করেছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী। সেইমতো রাজ্যজুড়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে কোমর বাঁধছে সরকার এবং স্কুলশিক্ষা দপ্তর। এ নিয়ে দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে বলে এসএসসি সূত্রে খবর। বদলাতে পারে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনও। জানা গিয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদের চাকরির জন্য পরীক্ষাগুলি হবে ‘টেট’-এর ধাঁচে। অর্থাৎ, মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক। উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। বিকাশ ভবন এবং এসএসসির অন্দরের খবর, বিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেই নিয়োগের পথে হাঁটবে তারা।
জানা যাচ্ছে, মাস দেড়েকের মধ্যেই প্রকাশিত হতে পারে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় হাজার তিনেক। বর্তমানে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই হবে সেই নিয়োগ। সেক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়বে সহকারী শিক্ষকের চাকরিতে। সংখ্যাটা ২৫ হাজারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষাদপ্তরের কর্তারা। এসএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির পুরনো প্যানেলের বর্ধিত শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার চাকরি হতে চলেছে। তারপরে শুরু হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ। আগামী মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে ওঠার কথা। আইনি জটিলতা কেটে গেলে সেই সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষককে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলবে সমান্তরালে। এসব শেষে আসবে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পালা।
অন্যদিকে, নিয়োগ পরীক্ষার ধরন পরিবর্তনের প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বড় প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রধান অসুবিধা, প্রাপ্ত নম্বরে বৈষম্য থেকে যায়। চাকরির পরীক্ষায় এক নম্বরের হেরফেরেও ভাগ্য বদলে যায়। তাই স্বচ্ছতা আনতে এমসিকিউয়ের পরিকল্পনা। শুধু তাই নয়, ওএমআর শিট প্রযুক্তি বান্ধব। এতে উত্তরপত্র মূল্যায়নও করা যাবে দ্রুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক আধিকারিক আবার বলেন, এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার একসময় কলেজ সার্ভিস কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইন্টারভিউয়ের সময় টিচিং ডেমনস্ট্রেশনে অভ্যস্ত। সেই কারণে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনে সেখানে টিচিং ডেমনস্ট্রেশন রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও নিয়মে সামান্য পরিবর্তন আসছে। এতদিন এই পদে নিয়োগ হতো এসএসসির সুপারিশে। আইনগতভাবে নিয়োগকারী ছিল স্কুলের পরিচালন কমিটি। আর প্রধান শিক্ষক পদটি সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট (একটি স্কুলে একটিই পদ) হওয়ায় এতে কোনও সংরক্ষণ চালু ছিল না। বর্তমানে সেই আইনে বদল এনে স্কুল শিক্ষক নিয়োগকারী সংস্থা করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। তাই এবার নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। আর সেই কারণেই সংরক্ষণের ১০০ পয়েন্ট রোস্টার কার্যকর করা যাবে।