রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাংলায় আপদকালীন তহবিলের উর্দ্ধসীমা ২০০ কোটি করল রাজ্য সরকার

May 11, 2022 | 2 min read

আম্পান, যশ, ফণি, বুলবুল— গত কয়েক বছরে বাংলায় আছড়ে পড়েছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়। পাশাপাশি করোনার ধাক্কায় নড়ে গিয়েছে রাজ্যের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মহামারী— আপদকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর মৌলিক চাহিদা মেটাতে এবার যুগাম্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে রাজ্য সরকারের আপদকালীন তহবিল বা কন্টিনজেন্সি ফান্ড একলাফে ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতদিন রাজ্য সরকার এই খাতে ২০ কোটি টাকা জমা রাখতে পারত। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।

কী এই আপদকালীন তহবিল? জবাবে অর্থদপ্তরের এক কর্তা বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত অর্থ বরাদ্দ ও খরচের প্রয়োজন হয়। গত ১০ বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলা। একইসঙ্গে করোনার ক্ষত এখনও দগদগে। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান সহ একাধিক চাহিদা দ্রুত মেটাতে হয়। সরকারি নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট ‘হেড অপ অ্যাকাউন্ট’ থেকে টাকা বরাদ্দ করে তা খরচ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আপদকালীন তহবিলের ঊর্ধ্বসীমা ২০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ২০০ কোটি করা হয়েছে। যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে চটজলদি সাহায্যের হাত বাড়ানো যায়।

ঘূর্ণিঝড় ও করোনার সময় সামাজিক কল্যাণে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করেছে নবান্ন। সম্প্রতি প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিকভাবে আরও বেশি ‘সাবলম্বী’ হওয়ার কথা বলেন। তারপরই সংশ্লিষ্ট ‘করপাসের’ সিলিং বাড়িয়ে ২০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে বিধানসভায় ‘দি কন্টিনজেন্সি ফান্ড অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল অর্থদপ্তর আপদকালীন তহবিলের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। অর্থদপ্তরের এক আমলা বলেন, রাজ্য সরকারের যাবতীয় আয় নথিভুক্ত থাকে ‘কনসোলিডেটেড ফান্ডে’। অর্থাৎ যাবতীয় কর, রাজস্ব সহ সমস্ত ধরনের আয়ের উৎস এই তহবিল। আপদকালীন তহবিলের জন্য বাড়তি ১৮০ কোটি টাকা এই ‘কনসোলিডেটেড ফান্ড’ থেকে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিধি অনুযায়ী আপদকালীন তহবিল থেকে যখন তখন যে কোনও অঙ্কের টাকা খরচ করা যায়। খরচের পর উপযুক্ত ভাউচার জমা করতে হয় ট্রেজারিতে। তারপর মূল তহবিলের নির্দিষ্ট ‘হেড’ থেকে সেই টাকা ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হয়। অর্থদপ্তরের এক প্রাক্তন কর্তার দাবি, রাজ্য সরকার আগে এত টাকা আপদকালীন তহবিলে জমা করেনি। গত কয়েক বছরে একাধিক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Emergency fund, #West Bengal, #Nabanna, #Fund

আরো দেখুন