স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ মমতার
করোনা মোকাবিলায় নবান্নে আজ ১১ই মে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক থেকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ফের কড়া নির্দেশে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় টাকার চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। স্থাস্থ্যসাথী কার্ডের অধীনে যেকোন রোগের চিকিৎসায় বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনা খরচে পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল স্থাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করে। হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ, এবার সেই সব বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেউ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আইনি পথে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সরকারকে পরামর্শ দেবে।
রাজ্যের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যেই চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বাংলায় চিকিৎসার পরিষেবা অনেক ভাল, এখানেই চিকিৎসা করান। আমি চাইব, রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে রাজ্যের হাসপাতালেই চিকিৎসা করান।”
এর পাশাপাশি রাজ্যে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নিয়ে চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও জেলাশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ডাক্তারি রুখতে জেলায় জেলায় ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস খোলার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রক্ত সংকট মোকাবিলায় পুলিশকে বিভিন্ন সামাজিক ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে রক্তদান শিবির আয়োজনের কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ৮০০ জরুরি ওষুধের দাম বাড়ানোয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।