সরকারি নির্দেশিকা মেনে তাপপ্রবাহ কমতেই বহু কলেজে পুরোদমে শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসে ক্লাস
সরকারি নির্দেশিকা মেনে তাপপ্রবাহ কমতেই খাস মহানগরের বহু কলেজে পুরোদমে শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস। স্কটিশ চার্চ, জয়পুরিয়া, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী এবং মনীন্দ্র চন্দ্রের মতো অনেক কলেজেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে অফলাইন ক্লাস। আচার্য গিরিশচন্দ্র বোসের মতো কিছু কলেজে তা শুরু হচ্ছে আজকালের মধ্যে। বঙ্গবাসী, আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস, হাওড়া বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজের কিছু কলেছে মিশ্র পদ্ধতিতে ক্লাস চলছে।
কলেজ অধ্যক্ষদের উদ্বেগ এখন পরীক্ষা নিয়েই। রাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই নানা সেমেস্টার পরীক্ষার সময় ও পদ্ধতি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও অবধি ফাইনাল পরীক্ষার ফর্মপূরণ ও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের দিনক্ষণ জানায়নি। ফলে চূড়ান্ত সেমেস্টারের পাশাপাশি আরও দুই ইভেন (চতুর্থ ও দ্বিতীয়) সেমেস্টারের পড়ুয়ারা পরীক্ষা নিয়ে খুবই সংশয়ে। তবে এবারও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনের দাবিতে রোজই শয়ে শয়ে অনলাইন পিটিশন জমা পড়ছে বলে খবর।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, ”আগামী সপ্তাহে কতটা কী পড়া হয়েছে, তা রিভিউ করব। চূড়ান্ত সেমেস্টার পরীক্ষা দূরস্ত্, বিশ্ববিদ্যালয় এখনও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের সূচি জানায়নি। ফাইনাল সেমেস্টারের ফর্মপূরণ কবে, তা-ও কিছু বলেনি।” এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতির মন্তব্য, ”আমাদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস অফলাইনে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালেয়র অপেক্ষায় না থেকে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই ইন্টারন্যাল পরীক্ষা নিয়ে নেব।”
বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজের অধ্যক্ষা রুমা ভট্টাচার্য জানান, ”আমাদের অফলাইন-অনলাইন মিশিয়ে ক্লাস হচ্ছে।” একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ জানান, তাঁরা প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোন করে এ ব্যাপারে জানতে চাইছেন। কিন্তু সদুত্তর পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় এ নিয়ে কিছু বলেননি।