রাজ্যের জেলার সংখ্যা কি ২৩ থেকে ৪৬ হবে? মমতার মন্তব্যে জল্পনা
রাজ্যের জেলার সংখ্যা কি ২৩ থেকে ৪৬টি হবে? ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা ছড়াল। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিন জেলার সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও পর্যাপ্ত আধিকারিক না থাকায় সম্ভব হচ্ছে না।
মমতা বলেন,‘‘ উন্নয়নের প্রয়োজনে জেলার সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন। আগামী দিনে ২৩টা থেকে ৪৬টা পর্যন্ত জেলা করার ইচ্ছা রয়েছে সরকারের। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না পর্যাপ্ত আধিকারিক না পাওয়ায়।’’
বৃহস্পতিবার টাউন হলে জোড়া কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। নবরূপে সজ্জিত টাউন হলের দ্বারোদ্ঘাটন এবং ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদান। টাউন হলের দ্বারোদ্ঘাটনের পর তিনি আধিকারিকদের বার্ষিক সাধারণ সভায় ষোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ বর্তমানে আইএএস এবং ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের মধ্যে বিশেষ ভাতার ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। আইএএস-রা জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসক হলে যে ভাতা পান, তার চেয়ে অনেক কম ভাতা পান ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরা জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক হলে।’’ মমতা বলেন, ‘‘এখন থেকে সবাই সমান বিশেষ ভাতা পাবেন। কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।’’
এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘‘ বেতন ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছনোর পর চাকরির শেষ প্রান্তে এসে আর বেতন বাড়ে না। সে ক্ষেত্রে কাজের মেয়াদ থাকলেও বেতন বাড়ে না। এই সব ক্ষেত্রে পৌঁছনো আমলাদের মাসে দশ হাজার টাকা করে ‘অ্যালাওয়েন্স’ দেওয়া হবে।’’
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিবের পদের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগামী দিকে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের মধ্যে থেকে যাতে দফতরের সচিব করা হয়, সে দিকেও নজর রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ তুলে তিনি কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। শুধু তা-ই নয়, থাবা বসানো হচ্ছে রাজ্যের টাকাতেও।