বেঙ্গালুরুকে ৫৪ রানে হারিয়ে প্লে ওফে ওঠার রাস্তা জিইয়ে রাখল পঞ্জাব
আইপিএলের প্লে অফে যাওয়ার সমীকরণ পঞ্জাব কিংসের জন্য খুবই কঠিন। বাকি সবক’টি ম্যাচই মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের কাছে মরণবাঁচনের। শুক্রবারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচটিও ছিল সেরকমই। দল হিসেবে আরসিবি যথেষ্ট শক্তিশালী। এদিকে প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে পঞ্জাবকে। বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ঝরছিল মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের। ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে পঞ্জাবকে দেখে তেমনটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। ব্যাটে ও বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করল পঞ্জাব। তাদের দাপটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স গুটিয়ে গেল। ম্যাচটা পঞ্জাব কিংস জিতে নিল ৫৪ রানে। সেই সঙ্গে প্লে অফের দৌড়ে থেকে গেল পঞ্জাবও।
পঞ্জাব কিংস প্রথমে ব্যাট করে পাহাড়প্রমাণ ২০৯ রান করে। শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো ঝড়ের গতিতে শুরু করেন। শিখর ধাওয়ান ব্যক্তিগত ২১ রান করে ডাগ আউটে ফেরেন। পঞ্জাবের রান তখন ৬০। মাত্র ২৯ বলে জনি বেয়ারস্টো করেন ৬৬ রান। ৪টি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। রাজাপক্ষে (১) রান পাননি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৯ রান করে আউট হন। লিয়াম লিভিংস্টোন ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। জিতেশ শর্মা (৯), হরপ্রীত ব্রার (৭), ঋষি ধাওয়ান (৭), রাহুল চাহার (২) রান পাননি। তাতেও অবশ্য রানের পাহাড়ে চড়তে সমস্যা হয়নি পঞ্জাবের।
বিশাল এই রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি শুরুটা মন্দ করেননি। তাঁর মারা বাউন্ডারি দেখে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে। কিন্তু রাবাদা ফেরান কোহলিকে। এই দুই তারকার লড়াইয়ের কথা সবাই জানে। এদিন রাবাদা জিতলেন ডুয়েলে। ডাগ আউটে যাওয়ার সময়ে কোহলিকে (২০) ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস (১০) পাঞ্জাবের বোলার ঋষি ধাওয়ানকে এগিয়ে গিয়ে মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন। কিছুক্ষণ বাদেই মাহিপাল লোমরোর (৬) ঋষি ধাওয়ানের বলে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
৪০ রানে দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর চাপ অনুভব করতে শুরু করে। রজত পাতিদার (২৬) বেশ এগোচ্ছিলেন। রাহুল চহারকে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন শিখর ধাওয়ানের হাতে। ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট যায় আরসিবি-র। ম্যাক্সওয়েল (৩৫) যেভাবে আউট হলেন, তাতে মনে হওয়াই স্বাভাবিক তিনি ক্যাচ প্র্যাকটিস করাচ্ছিলেন। আসলে পঞ্জাবের বিশাল রানই চাপ বাড়াচ্ছিল আরসিবি ব্যাটারদের উপরে। আস্কিং রেট বাড়ছিল প্রতিনিয়ত। সেই চাপ আরসিবি ব্যাটারদের কাছে প্রাণান্তকর হয়ে ওঠে। অন্যান্য ম্যাচে শেষের দিকে জ্বলে ওঠেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অন্যদিনের ম্যাচগুলোর মতো পরিস্থিতি এদিন ছিল না। অনন্ত চাপ গ্রাস করছিল তাঁকেও। ব্যক্তিগত ১১ রানে ফিরতে হল অর্শদীপ সিংয়ের বলে। শাহবাজ আহমেদ (৯) বশ্যতা স্বীকার করলেন রাবাদার। শেষ চার ওভারে জেতার জন্য আরসিবির দরকার ছিল ৮০ রান। দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছিল ব্যাঙ্গালোর। শেষমেশ ২০ ব্যাঙ্গালোর থামল ১৫৫ রানে।