সুতপাকে উত্যক্ত করায় সুশান্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন, তদন্তে জানালেন মেয়ের বাবা
সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে মেয়েকে বহু দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ আগেই তুলেছেন সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী। এ নিয়ে আগে এক বার তিনি পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বহরমপুর পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের এমনটাই জানিয়েছেন স্বাধীন।
তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর স্বাধীন জানান, ২০১৭ সালে এক বার পুলিশের কাছে গিয়ে সুশান্তের বিরুদ্ধে সুতপাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। যদিও সেই অভিযোগ এফআইআর আকারে দায়ের করা হয়নি। এই তথ্য তিনি এত দিন কেন তদন্তকারীদের দেননি, তা জানতে চাওয়ায় স্বাধীনের জবাব, ‘‘আমি ভুলে গিয়েছিলাম এই ঘটনার কথা। এখন মনে পড়ায় পুলিশকে তা জানিয়েছি।’’ অভিযোগ পেয়ে ওই সময় পুলিশ সুশান্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেছিল কি না, তা অবশ্য তিনি জানেন না বলেই দাবি করলেন। স্বাধীনের আক্ষেপ, ‘‘ওই সময় যদি আর একটু বিষয়টিতে নজর দিতাম, তা হলে হয়তো আজ আমার মেয়ে বেঁচে থাকত…।’’
গত ২ মার্চ বহরমপুরের রাস্তায় সুতপা খুন হওয়ার পর সুশান্তের বিরুদ্ধে মেয়েকে বার বার উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন স্বাধীন। তাঁর দাবি, সুতপা বহু বার মোবাইলের নম্বর বদলেছিল সুশান্তের কাছ থেকে রেহাই পেতে। নম্বরও ব্লক করে দিয়েছিল। তার পরেও কোনও না কোনও ভাবে সুতপার নম্বর পেয়ে তাঁকে উত্ত্যক্ত করত সুশান্ত। সুশান্তের পরিবারও সুতপার বিরুদ্ধে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সুশান্তকে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে বন্ধ ঘরে বসিয়ে জেরা করা হয় সুশান্তকে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সঙ্গেও দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সুতপাকে খুন করতে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছিল সুশান্ত, তা-ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যে রাতেই ইংরেজবাজারের নেতাজিনগরের কমার্শিয়াল মার্কেটে গিয়ে একটি দোকান চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের দাবি, সুশান্ত আদৌ সত্যি কথা বলছে কি না, দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে তা-ই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, সুশান্ত সত্যিই সুতপাকে বিয়ে করেছিল কি না, তা যাচাই করে দেখতে চাইছেন তাঁরা। একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করার কথা বলেছিল সুশান্ত। সে সম্পর্কেও খোঁজ করতে চাইছে পুলিশ।