১৫ লক্ষ টাকার জয়েন্ট ফিক্সড ডিপোজিট! পল্লবীর মৃত্যুতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey Death) মৃত্যু নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এবার শোনা যাচ্ছে, ১৫ লক্ষ টাকার জয়েন্ট ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পল্লবী-সাগ্নিকের। সাগ্নিক এবং তাঁর বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা হয়। এই টাকার বেশিরভাগটাই পল্লবী দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।
রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাটে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ফ্ল্যাটেই পল্লবীর সঙ্গে থাকতেন সাগ্নিক। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। সাগ্নিকই প্রথম পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর একটি অ্যাকাউন্টের নমিনি ছিলেন সাগ্নিক। তাঁর ও পল্লবীর নামে ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ১৫ লক্ষ টাকা। নিউটাউনে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাটের পাশাপাশি একটি দামি গাড়িও কেনা হয়। পল্লবীর পরিবারের দাবি, সেই গাড়ির বেশিরভাগ টাকা পল্লবীই দেন।
‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রীর মৃত্যুতে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর শোনা যাচ্ছে। বছর কয়েক আগে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন সাগ্নিক। সেই বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে নাকি পল্লবী সই করেন। বছর খানেক পরে সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সাগ্নিক। তারপর থেকেই গড়ফার ফ্ল্যাটে পল্লবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পল্লবীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রায়দিনই ঝামেলা হল পল্লবী ও সাগ্নিকের।
এদিকে পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আবার সাগ্নিক জানিয়েছিলেন, আর্থিক কারণেই প্রবল চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস ইএমআই-তে কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘মন মানে না’ সিরিয়ালের পর তেমন কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই ইএমআই কীভাবে শোধ করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বারবার পল্লবীকে বোঝানের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি সাগ্নিকের। উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানাতে পারে পল্লবীর পরিবার।