রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করা উকিল এখন জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় অন্যতম বিচারপতি, বিতর্ক
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টও (Supreme Court) মসজিদ চত্বর সিল করতে বলেছে। তবে ওই মসজিদে নমাজ বন্ধ রাখা যাবে না বলেও শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতিই রাম মন্দির মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের একজন আবার আইনজীবী হিসেবে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় হিন্দুদের পক্ষে লড়েছিলেন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachur) ও পিএস নরসিমার (PS Narasimha) ডিভিশন বেঞ্চে। বারাণসীর ওই মসজিদ মামলায় দাবি করা হয়েছে, মসজিদের ভেতরে রয়েছে স্থানীয় মন্দিরের অংশ। এরপরই উত্তরপ্রদেশের আদালতের নির্দেশে মন্দিরের ভিডিওগ্রাফি করা হয়। যার পর শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী। এরপরই মসজিদটিকে সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আদালত। এই মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল, সেই স্থানটি সিল করে রাখতে হবে। তবে মসজিদে নমাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করা যাবে না। এও জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার রায়ের পর এটিই সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় মন্দির-মসজিদ সংক্রান্ত মামলা। অন্যদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার দুই বিচারপতিই রাম মন্দির মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার পাঁচ বিচারপতির অন্যতম ছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ৪০ দিনের শুনানির পর ঐতিহাসিক রায় দেন বিচারপতিরা। অন্যদিকে বিচারপতি পিএস নরসিমা ওই মামলায় হিন্দু আবেদনকারীর আইনজীবী ছিলেন। তিনি মূল আবেদনকারী গোপাল সিং বিশারদের উত্তরাধিকারী রাজেন্দ্র সিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
পিএস নরসিমা শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ২০২১ সালের ৩১ আগস্টে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় চলতি বছরের শেষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিচারপতি নরসিমা শীর্ষ পদ পেতে পারেন ২০২৭ সালে।