গত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি ১৬ শতাংশ, আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২৯
করোনাতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে দেশ। চিন, উত্তর কোরিয়া-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা ভাইরাস চোখ রাঙালেও ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিজনক। প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে সংক্রমণ। পাশাপাশি ICMR জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা নেই। তবে সংক্রমণ রুখতে কোভিডবিধি মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮২৯ জন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ৩৯৩ জন। এদিকে মহারাষ্ট্রে একদিনে সংক্রমিত দেড়শোরও বেশি। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৯।
গত মাসে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়ালেও ফের তা নিম্নমুখী। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৭। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৯৩।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি স্বস্তিজনক সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৫৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২,৫৪৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯১ কোটি ৬৫ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।